দেড় বছর পর যে কারণে মাহি বলছেন তাঁর ডিভোর্স হয়নি
ঢালিউডে বহু দিন পর্দার ঝলক দেওয়ার পর এখন রাজনীতি ও রেস্তোরাঁর কাজে দিন কাটাচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। কয়েক মাস ধরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সম্প্রতি তিনি হঠাৎ মুখ খুলেছেন।
মাহি দেড় বছর আগে স্বামী রাকিব সরকার-এর সঙ্গে ডিভোর্সের কথা জানিয়েছিলেন। সেই ঘোষণার পর দু’জনকে একসঙ্গে আর দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি মাহি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ।’
গণমাধ্যমকে মাহি বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি, নিয়মিত যোগাযোগ আছে। ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম, তখন প্রকাশ করিনি। এখন দেখছি ভুল-বোঝাবুঝি হচ্ছে, তাই পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রাকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।’
এর আগে মাহি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেও যখন লাভ হচ্ছে না, তখন চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে তিক্ত থাকার চেয়ে বন্ধুত্ব রাখা ভালো। ওর বাবা ও ওর প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে।’
দেড় বছরের ব্যবধানে মাহির এই দুই ভিন্ন বক্তব্য বিনোদন অঙ্গনে সৃষ্টি করেছে আলোচনা। সূত্রের বরাতে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য একজন চিত্রনায়িকার জীবনকে চলমান ও সমৃদ্ধ দেখাতে হয়। স্বামী ও সন্তানের তথ্য পাসপোর্ট বা অন্যান্য কাগজে মেলে, তা নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণেই মাহি সম্প্রতি সিনেমার ঘোষণা, খবর প্রকাশ এবং পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন।
মাহি ২০১৬ সালে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন। পাঁচ বছর পর তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেলে ২০২১ সালে রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি।



























