শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য বিনোদন

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ১৯ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৬:১৫, ১৯ জুলাই ২০২৫

বরিশাল তুমি আমার হৃদয় জয় করেছ: সাফা কবির

বরিশাল তুমি আমার হৃদয় জয় করেছ: সাফা কবির
ছবি: সংগৃহীত

মডেল ও অভিনেত্রী সাফা কবির শোবিজে পা রাখেন একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এরপর একাধিক বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেন তিনি। অভিনয়ে তার যাত্রা শুরু হয় ‘অল টাইম দৌড়ের উপর’ টেলিফিল্ম দিয়ে। এরপর নিয়মিতভাবে নাটক ও ওয়েব ফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মাঝে নিজের অবস্থান গড়ে তোলেন।

বর্তমানে আগের তুলনায় কাজের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন সাফা কবির। ঈদের বিরতির পর ফের শুটিংয়ে ফিরেছেন তিনি। ফিরেই একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিতে চলে যান নিজের শিকড় বরিশালে। টানা এক সপ্তাহ শুটিং করে ঢাকায় ফেরেন।

সাফা কবিরের শেকড় বরিশালে। তার দাদাবাড়ি গৌরনদীতে এবং নানাবাড়ি বরিশাল সদরে। যদিও জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়, তবু বরিশালের প্রতি রয়েছে তার এক গভীর টান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি। লেখেন, ‘আমার হৃদয়ের একটা অংশ বরিশালে পড়ে থাকে।’ এবারের সফর নিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘এইবার গিয়েছিলাম শুটিংয়ের কাজে, কিন্তু সেটা যেন রূপ নিল এক পূর্ণ, মনভরানো সফরে—লঞ্চে পা রাখার মুহূর্ত থেকে শুরু করে বিদায় নেওয়া পর্যন্ত। বরিশাল, তুমি আমার হৃদয় জয় করেছ।’

তিনি আরও লেখেন,     প্রতিবার বরিশালে গেলেই একটা গভীর, অজানা টান অনুভব করি—মনে হয়, আত্মার একটা অংশ এই জায়গার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। বরিশালে যে শান্তি আমি পাই, তা আর কোথাও পাই না। আবার নতুন করে প্রেমে পড়ে যাই বরিশালের কাদামাখা রাস্তা, আঁকাবাঁকা নদী, বৃষ্টির পর মাটির গন্ধ, আর অবশ্যই, মুখরোচক খাবার।’

নাম চূড়ান্ত না হওয়া নাটকের শুটিং ইউনিটের সবাই ছিলেন বরিশালের। শিল্পী, পরিচালক, ক্যামেরাম্যানসহ ইউনিটের কারো না কারো শেকড় এই অঞ্চলে। বিষয়টি সাফার জন্য ছিল ভিন্ন রকম এক ভালো লাগার উপলব্ধি।

প্রায় দুই বছর আগে এক নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশাল গিয়েছিলেন সাফা। বর্তমানে তার দাদা-দাদি ও নানা-নানির বংশের কেউ আর বরিশালে থাকেন না। এ কারণে এবারের সফরে অনেক স্মৃতি মিস করেছেন বলে জানান তিনি।

স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘ছোটবেলায় প্রায় প্রতি ঈদেই বরিশাল যাওয়া হতো। বিয়ে বা অন্য অনুষ্ঠানেও আব্বু-আম্মুর সঙ্গে যেতাম। তখন আত্মীয়স্বজনে ভরপুর থাকত দাদা-দাদির বাড়ি। ঢাকায় ফেরার আগের রাতটা কেঁদেই কাটাতাম। এখন আত্মীয়রা কেউ থাকলে অন্তত শুটিংয়ের ফাঁকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারতাম, এই আফসোসটা অনেক বেশি।’

দেশ-বিদেশে নানা স্থানে শুটিং করলেও বরিশালে শেষবার শুটিং করেছিলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে। তাই এবারের অভিজ্ঞতা তার জন্য ছিল আবেগে মোড়া এক ভিন্নধর্মী সফর।