বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২১ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ১২ জুলাই ২০২৫

মিটফোর্ডে যুবদল নেতাদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড

দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর বিক্ষোভ  

দেশজুড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতভর বিক্ষোভ  
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে যুবদল নেতারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইসলামী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচি থেকে দ্রুত বিচার দাবি করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) 
রাত ৮টার দিকে ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তারা বিএনপি ও যুবদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন—যেমন, ‘ যুবদলের অনেক গুণ, পাথর মেরে সোহাগ খুন’  এবং ‘ আমার ভাই মরল কেন? তারেক রহমান জবাব দে।’  ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘ জাতীয়তাবাদী চাঁদাবাজদল চাঁদা না দেওয়ায় একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। এটি বর্বরতা নয়, সভ্যতার ধ্বংস।’ ছাত্র ফেডারেশন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখাও একই রাতে আলাদা মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানায়।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) 
রাত ১০টার দিকে বুয়েট শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার ঘুরে ক্যাম্পাসে ফিরে বিক্ষোভ সমাপ্ত করেন। তারা বলেন, এমন বর্বরতার সমাজে কোনো স্থান নেই।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) 
রাত পৌনে ১০টায় বটতলা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত হয়। শিক্ষার্থীরা বিএনপির সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) 
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জোহা চত্বরে বিক্ষোভে অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা।

 শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) 
রাত সাড়ে ৯টায় শাহপরান হল থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু হলে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে বিক্ষোভ শেষ হয়।
স্লোগান ছিল—’ ওয়ান টু থ্রি ফোর, চাঁদাবাজ নো মোর’ , ‘ চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না।’ 
এ সময় শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘ ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ লাশের ওপর নৃত্য করেছিল, এখন বিএনপি তা ফিরিয়ে আনতে চায়।’ 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) 
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জিয়া মোড় থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ডায়না চত্বরে গিয়ে সমাবেশ হয়।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) 
রাত ১০টায় দ্বিতীয় ফটক থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে বিক্ষোভ শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা বলেন—’ বিএনপির অনেক গুণ, এক বছরে দেড়শ খুন’ , ‘ পাথর মেরে খুন কেন, তারেক রহমান জবাব দে।’ 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) 
রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) 
সোহাগকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে মিছিলের পাশাপাশি ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে প্রতীকী অবরোধ করা হয়।

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) 
হল থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শেষ হয়। শিক্ষার্থীরা যুবদলের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে মোহাম্মদপুর ও পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। মোহাম্মদপুরের সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান বলেন, ‘ মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, সরকার জনগণের জান-মাল রক্ষায় ব্যর্থ। বিচারহীনতার সংস্কৃতিই আজকের এই দুঃসাহসের পেছনে দায়ী।’ সূত্র: আমারদেশ