ঢাবি হলের ভিপির বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কবি সুফিয়া কামাল হলের ক্যান্টিন চালু রাখার বিনিময়ে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে হল সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) সানজানা চৌধুরী রাত্রির বিরুদ্ধে। তবে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সালমা নাসরীন অভিযোগটিকে অবিশ্বাস্য বলে মন্তব্য করেছেন। বর্তমানে হলে আবাসিক ছাত্রীদের জন্য দুটি ক্যান্টিন রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের পর একটি ক্যান্টিনের মালিক নানা অভিযোগে স্থান ছাড়েন। অপর ক্যান্টিনটি চালু রাখতে মালিকের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে ভিপি সানজানার বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারী ক্যান্টিন মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমি সুফিয়া কামাল হলের দ্বিতীয় তলার ক্যান্টিন পরিচালনা করতাম। ভিপি সানজানা আগে আমাদের ক্যান্টিন ভালোভাবে চালাতে বলতেন। পরে একদিন জানান, ক্যান্টিন টিকিয়ে রাখতে হলে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। তিনি এক মাস সময় দেন টাকা দেওয়ার জন্য। আমি গরিব মানুষ, এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয় বলেছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে ভিপি সানজানা চৌধুরী রাত্রি বলেন, “এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে হল প্রশাসন ও সংসদের প্রতিনিধিদের নিয়ে আমরা ক্যান্টিনে অভিযান চালাই এবং অভিযোগের সত্যতা প্রমাণসহ রিপোর্ট জমা দিই। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলার পর থেকেই একটি পক্ষ আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “হল সংসদের ক্যান্টিন রাখার বা বাদ দেওয়ার এখতিয়ার নেই। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম। যারা এই পরিবর্তন চায় না, তারাই এমন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। ক্যান্টিন মালিকের সঙ্গে আমার কোনো টাকার বিষয়ে কথা হয়নি।”
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সালমা নাসরীন বলেন, “আমি দুই লাখ টাকার বিষয়ে কিছু জানি না, তবে এটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। ক্যান্টিন মালিক থাকবে কি না, সে সিদ্ধান্ত হল প্রশাসন ও সংসদ মিলে নেয়। এখানে চাঁদা দাবি করার প্রশ্নই আসে না।”
তিনি আরও জানান, “প্রথম ক্যান্টিন মালিককে নিয়ম অনুযায়ী পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্য ক্যান্টিনের মালিকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পর এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও মানের উন্নতি হয়নি। তাই ক্যান্টিন পরিবর্তনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।” সূত্র: ডেইলি ক্যাম্পাস



























