শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৪, ১০ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৪, ১০ জুলাই ২০২৫

মেয়েদের ধারাবাহিক সফলতা, এবারও এসএসসিতে এগিয়ে

মেয়েদের ধারাবাহিক সফলতা, এবারও এসএসসিতে এগিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় গত কয়েক বছর ধরে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফল করে আসছে। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়ে তারা দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা নারীশিক্ষার অগ্রগতি ও সামগ্রিক সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

২০২৪ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ছিল প্রায় ১০ লাখ ২৫ হাজার এবং ছাত্র ছিল ৯ লাখ ৮৮ হাজার। পাসের হার ছিল ছাত্রীদের জন্য ৮৪.৪৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের জন্য ৮১.৫৭ শতাংশ। এছাড়া জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যায়ও মেয়েরা ছেলেদের ছাড়িয়ে যান; ৯৮,৭৭৬ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন, যা ছাত্রদের থেকে ১৫ হাজার বেশি।

২০২৩ সালের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৪১ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে ছাত্রী ছিল ১০ লাখ ৩১ হাজার এবং ছাত্র ১০ লাখ ৯ হাজার। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ছাত্রীদের আধিপত্য ছিল লক্ষণীয়। ৯৮ হাজার ছাত্রী জিপিএ-৫ পান, যা ছাত্রদের থেকে প্রায় ১৩ হাজার বেশি।

২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে মেয়েরা পাসের হার ও উচ্চ নম্বর প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ছেলেদের থেকে এগিয়ে। বিশেষ করে ২০২১ সালে করোনা মহামারির মধ্যেও মেয়েদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ছিল উল্লেখযোগ্য। ২০২০ সালেও মেয়েদের পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি ছিল ছাত্রদের থেকে বেশি।

বিশেষজ্ঞরা মেয়েদের সফলতার পেছনে কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। মেয়েরা পড়াশোনায় বেশি অধ্যবসায়ী এবং মনোযোগী, নিয়মিত পড়াশোনা করে থাকে। পরিবারের সহযোগিতা ও সচেতনতা বেড়ে যাওয়াও বড় ভূমিকা রাখছে। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা বাল্যবিবাহ রোধ ও মেয়েদের শিক্ষার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা মেয়েদের শিক্ষাজীবনে প্রেরণা যোগাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেয়েদের জন্য শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করছে। মেয়েরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি সচেতন এবং স্পষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পড়াশোনা করছে।

২০০১ সাল থেকে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও ফলাফলের ধারাবাহিক উন্নয়ন লক্ষণীয়। ২০০১ সালে পাসের হার ছিল মাত্র ৩৫.২২ শতাংশ, যেখানে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ছিল কেবল ৭৬ জন। এরপর থেকে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা স্থিরহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালে পাসের হার ৯১.৩৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার ছিল সর্বোচ্চ, প্রায় ১০ শতাংশ।