নিষিদ্ধ হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ছাত্রলীগের কমিটি: প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করবে বিশ্ববিদ্যালয়
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের প্যাডে এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত চিঠি দেওয়া হয়েছে পদায়ন হওয়া নেতাদের। তবে এই কমিটির তথ্য তারা প্রকাশ করেনি। যদিও নিষিদ্ধ এই সংগঠনে পদ পাওয়ার পর অনেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি এক বছরের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৩৫ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সম্প্রতি সেটা ২০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ঢাকা মহানগরের কামরাঙ্গীরচরসহ তিনটি থানায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কোনো শিক্ষার্থী যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে, এ নিয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে বহিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে।'
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নতুন কমিটির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন বলেন, 'আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় নজরদারি ও গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। অবৈধ কর্মকাণ্ড বা সংঘর্ষের চেষ্টা হলে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পলায়নের পর ওই বছরের ২৩ অক্টোবর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বর্তমানে সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতা ভারতে পলায়নের পাশাপাশি অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।দেশে যারা রয়েছে তারা চলে গেছেন আত্মগোপনে।
নিষিদ্ধ হওয়ার এক বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো বৃহৎ এই কমিটি গঠন করল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ।



























