রাকসু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে শিক্ষকদের ওপর গুপ্ত ছাত্রসংগঠনের হামলা: ছাত্রদল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করা এবং আজকের ন্যক্কারজনক হামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় ছাত্র সংগঠনটি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিপ্রক্রিয়ায় পোষ্য কোটা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাব্যবস্থায় ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিতকরণের পথে একটি বড় বাধা হয়ে রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই কোটা পুনর্বহালের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা শিক্ষার্থীদের আকাঙ্ক্ষা ও চিন্তাভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত। এর মাধ্যমে বঞ্চনা ও বৈষম্য তৈরি হবে। ভর্তিপ্রক্রিয়ায় মেধা হওয়া উচিত একমাত্র মানদণ্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যেকোনো প্রতিবাদের ভাষা গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ হওয়া বাঞ্ছনীয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকেরা একটি ছাত্রসংগঠনের গুপ্ত নেতা-কর্মীদের দ্বারা আজ যে ন্যক্কারজনক হামলা ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এটা রীতিমতো অভূতপূর্ব। আন্দোলনের নামে শিক্ষকদের গায়ে এভাবে হাত তোলা ও হামলার বিষয়টি কোনোক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি, আজকের এই হামলার ঘটনা রাকসু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।’
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির কোটা পুনর্বহাল এবং শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা পোষ্য কোটা অবিলম্বে বাতিল করা এবং আজকের ন্যক্কারজনক হামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাবিতে পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভর্তি কমিটির সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধায় (পোষ্য কোটা) ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পর থেকে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন।