শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|৮ কার্তিক ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ২১:৩৩, ২১ অক্টোবর ২০২৫

কান্নারত শিশুকে সহায়তার কথা বলে নিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

কান্নারত শিশুকে সহায়তার কথা বলে নিয়ে ধর্ষণ, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১২ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার কনস্টেবলের নাম মো. রুহুল আমিন (৪১)। তিনি ডিএমপির ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার শেখসাদি গ্রামে, বর্তমানে তিনি বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের পর রুহুল আমিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী।

তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে অভিযুক্ত কনস্টেবলের বন্দরের ভাড়া বাসায়। সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া এলাকা থেকে কনস্টেবল রুহুল আমিনকে শিশুসহ আটক করে পুলিশ। পরে রাত একটার দিকে তাকে সদর মডেল থানা থেকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পুলিশ জানায়, শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। ঘটনার দিন সকালে শিশুটির চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেন।

ওসি লিয়াকত আলী বলেন, “সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্নারত অবস্থায় শিশুটিকে দেখে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল রুহুল আমিন সহানুভূতির কথা বলে তাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে বন্দরের বাসায় আসেন। সেখানে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটিকে নিয়ে আবার ঢাকায় ফেরার সময় চাষাঢ়া এলাকায় শিশুটি কান্নাকাটি করলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তারা পুলিশে খবর দেয়।”

তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশে দুপুরে অভিযুক্ত কনস্টেবল রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ