নিরাপত্তাহীনতায় যুবদল কর্মীর হামলায় নিহত লাল চাঁদের পরিবার

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় নির্মমভাবে খুন হওয়া লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের মরদেহ গতকাল শুক্রবার বরগুনায় নিজ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। আজও শোকে পাথর হয়ে আছে পরিবার।
নিহতের স্ত্রী লাকি বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎসকে ওরা খুন করেছে। এখন সন্তানদের কীভাবে মানুষ করব? সংসারই বা চলবে কীভাবে?’ ১০ বছর বয়সী ছেলে সোহান ও ১৪ বছরের মেয়ে সোহানা বাবাকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ।
সোহাগ দীর্ঘদিন পুরান ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ‘মেসার্স সোহানা মেটাল’ নামের একটি দোকান চালাতেন। স্বজনদের দাবি, স্থানীয় একটি পক্ষ মাসিক দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাতে রাজি না হওয়ায় একপর্যায়ে দোকান তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পাথর দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদকে।
স্বজনরা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আতঙ্কে আছেন তারা। অভিযুক্তদের লোকজন এখনো ফোনে হুমকি দিচ্ছে।
লাল চাঁদের বাবা আইউব আলী মারা যান যখন তিনি মাত্র সাত মাস বয়সী। এরপর মা আলেয়া বেগম জীবিকার তাগিদে ঢাকায় চলে যান। ছোটবেলা থেকেই ঢাকাতেই বড় হয়েছেন লাল চাঁদ।
মেয়ে সোহানা বলে, ‘আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি, আমাদের পরিবারটিকে নিরাপত্তা দিন।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘পরিবারটিকে সহযোগিতা করা হবে এবং নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘নিহত সোহাগ আমাদের দলীয় কর্মী ছিলেন। পরিবারটির পাশে আমরা আছি। আইনগত ও আর্থিক সহায়তা করা হবে।’