রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:২০, ৮ নভেম্বর ২০২৫

সাতক্ষীরা-২ আসনে রউফের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিএনপির ৩৩ নেতার আবেদন

সাতক্ষীরা-২ আসনে রউফের মনোনয়ন বাতিল চেয়ে বিএনপির ৩৩ নেতার আবেদন

সাতক্ষীরা-২ আসনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আব্দুর রউফের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে আবেদন করেছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩৩ জন নেতা।

বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা যৌথভাবে এই আবেদন দাখিল করেন। আবেদনের অনুলিপি খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিতর্কিত আব্দুর রউফ অতীতে একাধিকবার দল পরিবর্তন করেছেন। ২০০৯ সালে তিনি বিএনপি ছেড়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন, পরে আবার বিএনপিতে ফেরত আসেন। দলীয় আদেশ অমান্য করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় গত ২৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় বিএনপি তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করে। সেই বহিষ্কারাদেশ এখনো প্রত্যাহার হয়নি।

এ ছাড়া, গত ২৩ এপ্রিল এক মাহফিলে ইসলামি বক্তা কবির বিন সামাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় আলেম-ওলামারা বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

আবেদনে আরও বলা হয়, সাতক্ষীরা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন ও সরকারি খাসজমি দখল নিয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে গত বছর জেলা প্রশাসক আব্দুর রউফকে প্রকাশ্যে ‘বাটপার’ বলেছিলেন যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আগরদাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, “চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা তাঁকে সুখে-দুঃখে পাশে পেয়েছি। তাঁর মনোনয়নই আমরা প্রত্যাশা করি।”

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। এর পর রাত ১০টার দিকে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বিনেরপোতা বাইপাস মোড়ে আব্দুর রউফের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভের কারণে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

সদ্য সংবাদ/ মো. ফয়জুর রহমান