রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ৪ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২৩:৫০, ৪ নভেম্বর ২০২৫

মিমিক্রিতে সুনাম কুড়িয়েছেন খাগড়াছড়ির জেরিন

মিমিক্রিতে সুনাম কুড়িয়েছেন খাগড়াছড়ির জেরিন

বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষায় মিনা কার্টুন, শিনচ্যান, ডোরেমন, সিসিমপুরসহ ত্রিশটিরও বেশি চরিত্রের কণ্ঠ অনুকরণ বা মিমিক্রি করে পাহাড়ের আলোচিত নাম হয়েছেন আয়েশা আক্তার জেরিন। কার্টুন চরিত্রের কণ্ঠ অনুকরণে জনপ্রিয়তা অর্জন করে খাগড়াছড়ির এই তরুণী এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ।

মানিকগঞ্জ নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জেরিন পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মাস্টারপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মো. আমির হোসেনের মেয়ে।

২০১৮ সালে মাটিরাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৪.৬৫ পেয়ে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন জেরিন। ২০২০ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। দুই বোনের মধ্যে জেরিন বড়। তাঁর ছোট বোন বর্তমানে চট্টগ্রামের একটি নার্সিং কলেজে অধ্যয়নরত।

ছোটবেলা থেকে উচ্চারণ অস্পষ্ট থাকার কারণে জেরিনের কথা শিক্ষক ও সহপাঠীরা ঠিকভাবে বুঝতে পারতেন না। স্কুলের শিক্ষকরা তাঁর অভিভাবকদের জানিয়ে বলতেন, ‘মেয়েটির উচ্চারণ শিখিয়ে তারপর স্কুলে পাঠান।’ কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও জেরিন সেই অস্পষ্টতা কাটাতে পারছিলেন না।

একপর্যায়ে তাঁর উচ্চারণ স্বাভাবিক হলেও মনের ভেতর জন্ম নেয় এক অদম্য জেদ যেই কণ্ঠস্বর নিয়ে একসময় উপহাস করা হয়েছিল, সেটিকেই তিনি শক্তিতে রূপ দিতে চান। সহপাঠীদের তাচ্ছিল্য তাঁকে মিমিক্রিতে পারদর্শী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয়।

মিমিক্রির কৌশল শেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আয়েশা আক্তার জেরিন বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই কার্টুন দেখতে ভীষণ ভালো লাগত। বিভিন্ন চরিত্র যখন কথা বলত, তখন সেগুলো আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় মনে হতো। সেখান থেকেই আগ্রহের শুরু, ধীরে ধীরে সেটা এক ধরনের দক্ষতায় পরিণত হয়েছে।’

ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মিমিক্রি ভিডিও দেখে স্বর অনুকরণের অভ্যাস গড়ে ওঠে তাঁর। জেরিন বলেন, ‘গত বছর থেকে আমি শিনচ্যান, ডোরেমন, মিনা কার্টুন, সিসিমপুরের ইকরি, নিনজা হাতোরিসহ ত্রিশটিরও বেশি কার্টুন চরিত্রে ভয়েস দিতে পারি।’

সদ্য সংবাদ/ মো. নাজমুল হোসেন ইমন
 

সর্বশেষ