শরীয়তপুরে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুস্পৃষ্টে দুইজনের মৃত্যু
শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলায় পুকুরে বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে পানি সেচে দিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আলমগীর দপ্তরী (৫২) এবং নুরে আলম মোল্লা (৪০) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের ওহাব দেওয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, 'ঘটনাস্থলে শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গোসাইরহাট সার্কেল) মো. শামসুল আরেফীন স্যারসহ আমরা পরিদর্শনে আসছি খোঁজখবর নিয়ে জানানো হবে।'
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে পাশের বিলের পুকুরে মাছ ধরার জন্য বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে পানি সেচে। এ সময় অসাবধানতাবশত নুরে আলম ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকেন। পরে সহপাঠী ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নুরে আলমের ছেলে নিরব বলেন, 'সোমবার রাতে আমার বাবা আর আলমগীর কাকা পাশের গ্রাম বকাউল পাড়ায় বিলে একটি পুকুরে মাছ ধরতে যায়। রাতে সে বাসায় না ফেরায় মা রাত ১০টার দিকে মা ফোন করলে আসতে দেরি হবে বলে জানায়। এরপরে আর কথা হয়নি। আজ সকালে আমি ফজর নামাজ পড়ে বিলে গিয়ে দেখি আমার বাবা ও আলমগীর কাকা কারেন্টের আর্থিং এর রড ধরা অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। আমি দৌড়ে কারেন্টের মেইন সুইচ বন্ধ করে লোকজন ডাক দিলে তারা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ডাক্তার মৃত বলে দেয়।'
নিহত আলমগীর দপ্তরীর স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, 'সোমবার সন্ধায় কারেন্টের মোটর দিয়ে পুকুর থেকে মাছ ধরতে মোটর ফিটিং করে রাখে। এরপরে রাতে সেখানে যায় পড়ে। সকালে আমার স্বামী বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করতে নুরে আলমের বাসায় গেলে তার পরিবার জানান সেও বাড়িতে ফেরেনি। পরে নুরে আলমের ছেলে নিরব জানায় তারা দুজন কারেন্টের তারের সাথে হাত লাগিয়ে মাটিতে পড়ে রয়েছে।'
শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(গোসাইরহাট সার্কেল) মো. শামসুল আরেফীন বলেন, 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবার কতৃক কোনো অভিযোগ নেই। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'
মো.সাহেদ আহমেদ/এমটি



























