রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৮:২৯, ২ নভেম্বর ২০২৫

চুপ্পুর নিকট থেকে জুলাই সনদের সার্টিফিকেট না নিয়ে পানিতে ডুবে মরা ভালো: হাসনাত আব্দুল্লাহ

চুপ্পুর নিকট থেকে জুলাই সনদের সার্টিফিকেট না নিয়ে পানিতে ডুবে মরা ভালো: হাসনাত আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ঢাকার পর দ্বীপ জেলা ভোলায় জুলাই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি মানুষ শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, এখন চুপ্পুর হাত থেকে জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিলে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের পরিবারের কাছে এটি চরম অপমানের সমতুল্য হবে।

রোববার (২ নভেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এনসিপির ভোলা জেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ইতিহাসের নির্মম বাস্তবতা হলো যারা জুলাই আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখার কথা বলে, তারাই আজ চুপ্পুর কাছে বায়াত নিয়ে সেই সনদ নিতে চাইছে। চুপ্পু ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার। তার কাছ থেকে বায়াত নিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলা এক ধরনের প্রতারণা।”

তিনি আরও বলেন, জুলাই সনদের বৈধতা একমাত্র ড. মুহাম্মদ ইউনুসের। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব নেওয়ার কারণে তার নির্দেশেই সনদ প্রদান হতে হবে। কোনো প্রজ্ঞাপন বা অস্থায়ী নির্দেশ নয়; সরকারের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। নির্বাচনের মতো জুলাই সনদের ক্ষেত্রেও সরকারের বৈধ ম্যান্ডেট রয়েছে এবং সময় ফেব্রুয়ারিই হতে হবে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, যারা বলে জুলাই সনদ প্রয়োজন নেই, তারা পরে হয়তো বলবে ২৪ আন্দোলনেরও প্রয়োজন নেই। এর একটি বাস্তব নমুনা ভোলায় দেখা গেছে।

এছাড়া সভায় ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, রাজনীতিতে পেশীশক্তির ব্যবহার মারাত্মক সংকেত। আশা প্রকাশ করা হয়েছে, পার্থ বিষয়টি ভেবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন।

সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম-মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু এবং এনসিপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলা প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফ এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী মাকসুদুর রহমান।

সর্বশেষ