আইনজীবীকে হত্যার হুমকি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক আইনজীবীকে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়। আদালত প্রত্যেক আসামির নামে সমন জারি করেছেন।
হুমকি পাওয়া আইনজীবীর নাম নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক এবং জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য। নূরে আলম নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন। দেলোয়ার ছাড়াও আরও চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- জেলার নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর গ্রামের মো. হাসানসহ আরও অজ্ঞাত দুই-তিনজন।
জেলা আইনজীবী ভবনে অন্যান্য আইনজীবীদের সামনে প্রকাশ্যে অশোভন আচরণ ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় এ মামলা করা হয়েছে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তার মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন ইস্যুর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির নিচতলায় অন্যান্য আইনজীবীর সঙ্গে নূরে আলম সিদ্দিকী পেশাগত কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন অন্য আসামিদের নিয়ে সেখানে গিয়ে নূরে আলম সিদ্দিকীকে হুমকি দেন। তিনি নূরে আলমকে তার বোনের সম্পত্তি বণ্টন সংক্রান্ত মামলাটি মীমাংসার জন্য চাপ দেন। এক পর্যায়ে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলেন আদালতের বাইরে গেলে তাঁকে “অস্তিত্বহীন” করে ফেলা হবে এবং তাঁর পরিবার ও বাড়িঘর ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
ঘটনার পর নূরে আলম সিদ্দিকী বিষয়টি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। এরপর থেকে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম অনিরাপত্তায় রয়েছেন। এজন্য ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নাসির মিয়া বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলের নেতৃত্বে প্রায় একশ আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। এছাড়াও ওকালতনামায় প্রায় অর্ধশতাধিক আইনজীবী স্বাক্ষর করেছেন।’
জানা গেছে, মামলার বাদী আইনজীবী নূরে আলমের বোন সাহেরা খাতুন জেলার নবীনগর উপজেলার বাসিন্দা। আইনজীবীর বোন, ভাগনে কামরুল হাসান ও মাহমুদুল হাসান সম্পত্তি বণ্টনের দাবিতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন। আদালত ওই ভূমিতে প্রথমে স্থিতাবস্থার আদেশ দেন এবং পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসারকে উক্ত ভূমি বিক্রি বা হস্তান্তর নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
সদ্য সংবাদ/ মমিনুল হক রুবেল



























