মাদারীপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন
মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে প্রবাসীর স্ত্রী উর্মি বেগম (৩১) কে ধর্ষণ ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ঘটকচর এলাকায় আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে হাজারো মানুষের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন।
ভুক্তভোগী নারীর দুই সন্তান। মেয়ে নাহিদা (৮) ও ছেলে নিহাল (২) কে নিয়ে সোহাগ সরদার (৪৫)-এর ভাড়া বাসায় থাকতেন। অভিযোগ, সোহাগ প্রথমে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে সেই ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করে।
এই ঘটনা জানাজানি হলে সোহাগের সঙ্গে লামিয়া আক্তার (২০), ঝরনা বেগম (৩৮), কালাম সরদার (৫৫), মিম আক্তার (২৫) ও সাজিদ হাওলাদার (২০) মিলে উর্মির শরীরের অমানবিক নির্যাতন চালায়। তার ছোট দুই সন্তান চিৎকার করলে তাদের ওপরও একইভাবে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতনের পর ভুক্তভোগী নারীকে হাত-পা বেঁধে ঘরে ফেলে রাখা হয়। মা মুর্শিদা বেগম (৫১) তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে পথেও বাধা দেয়া হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় (৩ অক্টোবর) মুর্শিদা বেগম বাদী হয়ে মামলা করলেও এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে ক্ষোভ জানান এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বিভিন্ন রকমের স্লোগান দিতে থাকেন এলাকাবাসী। তাদের বলতে শোনা যায়,“এভাবে একটি নারী ও তার সন্তানদের ওপর বর্বরতার বিচার না হলে সমাজে রাক্ষসদের দৌরাত্ম্য বাড়বে।”
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, পুলিশ মাঠে কাজ করছে এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।



























