র্যাবের মিনিবাসের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৩
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় র্যাবের মিনিবাসের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশতাধিক।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দুর্ঘটনায় আহত র্যাবের মিনিবাসের চালক এএসআই আব্দুল আলিম (৩২) এবং আফরোজা বেগমকে (৩৫) বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যান। বাকি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় দুই বছরের শিশু পিয়াস।
বর্তমানে দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ৩৪ জনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত র্যাব সদস্য ও তাদের স্বজনসহ অন্তত ১৫ জনকে লেবুখালী সেনানিবাসের সিএমএইচ-এ পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত আরও পাঁচজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে বরিশাল থেকে পিকনিকের উদ্দেশ্যে র্যাবের একটি মিনিবাস কুয়াকাটা যাচ্ছিল। পথে কুয়াকাটা থেকে ছেড়ে আসা ‘ধানসিড়ি’ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ফতুল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুটি গাড়িই দুমড়ে-মুছড়ে যায় এবং নারী-শিশুসহ উভয় বাসের অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন।
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তামান্না রহমান শান্তা বলেন, 'সকাল ৯টার কিছু আগে আহতরা হাসপাতালে আসতে শুরু করেন। প্রথমে আনা দুই বছরের শিশু পিয়াসকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর হাতে-পায়ে ও মুখে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত আরও কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৭-৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।'
পটুয়াখালী র্যাবের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. রাসেদুল ইসলাম বলেন, 'বরিশাল থেকে কুয়াকাটা যাওয়ার পথে র্যাবের কোস্টারটি দুর্ঘটনায় পড়ে।'
পটুয়াখালী সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ বলেন, 'পুলিশ ও যৌথ বাহিনী আহতদের সেবা ও তদারকিতে নিয়োজিত রয়েছে।'
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, 'দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলেও পুলিশ দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাস দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়।'
সদ্য সংবাদ/এমটি



























