বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৬:২৬, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন রোধে ‘গ্রীন ভয়েসের’ মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন রোধে ‘গ্রীন ভয়েসের’ মানববন্ধন
ছবি: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

‎“নদী বাঁচাতে আইন দাও, নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও” এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নদ-নদী রক্ষা, নদী দখল ও দূষণ প্রতিরোধ, ভয়াবহ ভাঙন রোধ এবং কার্যকর নদী আইন বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের পদ্মারচর পাগলার বাজার এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনের আয়োজন করে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’ নাগেশ্বরী উপজেলা শাখা। কর্মসূচিতে স্থানীয় কয়েকশ মানুষ অংশ নেন।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস ধরে নারায়ণপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চলে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। পদ্মারচর, পালগার বাজার, হাইল্যান, মিরকেমারি হাট, চৌদ্দকুরি চর ও পাখি উড়াচরসহ একাধিক স্থানে অর্ধশতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে বসতভিটা হারিয়েছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকশ বিঘা আবাদি জমি। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাগলার বাজার, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক মসজিদ ও গ্রামীণ সড়ক।

‎স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড বারবার আশ্বাস দিলেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।

‎মানববন্ধনে বক্তব্য দেন গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রাইসুল ইসলাম নোমান, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার, উপজেলা শাখার সভাপতি মাইদুল ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী সুমন, এবং স্থানীয় সংগঠক আবির, সাঈদ শফিউল ইসলাম, রবিউল আলম রবি, আসাদুজ্জামান, ইয়াসিন আলী প্রমুখ।

‎স্থানীয় বাসিন্দা হোসাইন বলেন, আমাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে ভয়াবহভাবে। অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। বাজার, মসজিদ, বিদ্যালয়ও হুমকির মুখে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হবে।

‎‘গ্রীন ভয়েস’ উপজেলা সভাপতি মাইদুল ইসলাম মামুন বলেন, নাগেশ্বরীর নয়টি ইউনিয়নের অনেকগুলো চরে ভয়াবহ ভাঙন হচ্ছে। এতে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

‎জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার বলেন, ভারতের সঙ্গে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে। বন্ধুত্বের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। নদীভাঙনের কারণে কুড়িগ্রামের হাজার হাজার পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়ে। উন্নয়নের ধারা থেকে পিছিয়ে পড়ছে পুরো জেলা।

‎কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রাইসুল ইসলাম নোমান বলেন, কুড়িগ্রামে ৪২০টির বেশি চর রয়েছে। এসব চরে বসবাসকারী মানুষ প্রতিনিয়ত ভাঙনের শিকার হয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনযাপন করছে। নদীভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী সমাধান ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।

মানববন্ধনে বক্তারা নদীভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি নদী আইন কার্যকর বাস্তবায়ন, দখল ও দূষণমুক্ত রাখার দাবি জানান।

সদ্য সংবাদ/এসএইচ

সর্বশেষ