বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

কুমিল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৬:৩৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন

হোমনায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ মাজারে হামলা ভাঙচুর আগুন
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে বিক্ষুব্ধ জনতা চারটি মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের পর আগুন দিয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘বেমজা মহসিন’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বুধবার সকালে মহানবী (সা.) সম্পর্কে আপত্তিকর পোস্ট দেয় এক যুবক। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানার সামনে জড়ো হয়ে মহসিনের শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সেনা ও পুলিশ জনতাকে শান্ত করেন। দুপুরে মহসিনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনার হোমনা উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক বাদী হয়ে হোমনা থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

এদিকে পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় আজ সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আসাদপুর গ্রামে কফিল উদ্দিন শাহ ও হাওয়ালি শাহ মাজারে আগুন দেয় এবং কালাই শাহ ও আবদু শাহ মাজারে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপার ও হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষ্যেমালিকা চাকমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষ্যেমালিকা চাকমা বলেন, ‘গত বুধবার নবীজীকে নিয়ে কটূক্তির কারণে জনতার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, যা আজ মাজারে হামলা ও আগুন ধরানোর দিকে গড়িয়েছে।’

উপজেলা ইসলামী ফ্রন্টের সেক্রেটারি সফিক রানা এবং ইসলামী যুবসেনার নেতা শরিফুল জানান, গ্রেপ্তার মহসিন দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্ট দিয়ে আসছিল। তারা তার ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, মহসিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে সকালে মাজারে হামলা ও আগুন ধরানোর ঘটনায় উসকানি দানকারী ও দোষীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।