বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৩০ আগস্ট ২০২৫

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৩২ বস্তা টাকা

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৩২ বস্তা টাকা
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স আবার খোলা হয়েছে। ৪ মাস ১৮ দিন পর মসজিদের ১০টি দানবাক্স ও ৩টি সিন্দুক থেকে মোট ৩২ বস্তা টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে এগুলোর গণনা কার্যক্রম চলছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর মসজিদের দ্বিতীয় তলায় টাকা খালি করে সকাল ৯টায় গণনা শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। দিনের শেষ পর্যন্ত গণনা শেষ হলে সন্ধ্যায় মোট টাকা জানা যাবে।

গণনায় অংশ নিয়েছেন ৩৪০ জন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, জেলা প্রশাসনের ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৩৩ জন শিক্ষক ও স্টাফ, ৯ জন সেনা সদস্য, ৩০ জন পুলিশ সদস্য, ৫ জন আনসার ব্যাটালিয়ন ও ১০ জন আনসার সদস্য, এবং ১০০ জন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। সাধারণত দানবাক্স তিন মাস অন্তর খোলা হলেও এবার ৪ মাস ১৮ দিন পর এটি সম্ভব হয়েছে।

দানে শুধু দেশি টাকাই নয়, রয়েছে স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দানবাক্স খোলা হয়েছে। এ সময় দানকারীদের লেখা চিঠিগুলোও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। এসব চিঠিতে মানুষ জীবনের প্রাপ্তি, ব্যথা, চাকরি, ভালো ফলাফল, রোগমুক্তি ও প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ৮ ঘণ্টা গণনার পর বিকেল ৫টায় মোট টাকার হিসাব প্রকাশ করা হয়। পাগলা মসজিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোট দানের পরিমাণ ৯১ কোটি টাকারও বেশি বলে জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানিয়েছেন।

এদিকে, গত ৪ জুলাই থেকে দেশ ও বিদেশ থেকে দান করা যায় পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের অনলাইন ডোনেশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে প্রতারকচক্র অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দেশ-বিদেশের যারা সরাসরি দান করতে পারছেন না, তাদের সুবিধার্থে এই ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়: