বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ২০ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জের ঘটনায় ৪ হত্যা মামলা, আসামি ৬ হাজার

গোপালগঞ্জের ঘটনায় ৪ হত্যা মামলা, আসামি ৬ হাজার
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় সেদিনই চারজন নিহত হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার চারদিনের মাথায় চারটি পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে, প্রতিটিতেই আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতপরিচয় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ নেতাকর্মীসহ দুষ্কৃতিকারীদের আসামি করা হয়েছে।

শনিবার রাতে দায়ের করা মামলাগুলোর তথ্য রোববার নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনার জেরে আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

কিশোর রমজান কাজীর (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আয়ুব হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার দুপুরে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে এনসিপির গাড়িবহর মাদারীপুরের দিকে রওনা দিলে এসকে সালেহিয়া মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে হামলা হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে আক্রমণ চালান। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিলে তাদের ওপরও গুলি চালানো হয়। এতে রমজান কাজী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

একই ধরনের অভিযোগে বাকি তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দীপ্ত সাহা (২৭) হত্যার ঘটনায় সদর থানার এসআই শামীম হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। তার এজাহারে বলা হয়, কলেজ মসজিদের কাছে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় এবং দীপ্ত সাহা গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।

তৃতীয় মামলায় এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সোহেল রানা মোল্লার (৩০) হত্যার অভিযোগ করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, লঞ্চঘাট এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।

চতুর্থ মামলায় এসআই শেখ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ইমন তালুকদারের (১৭) মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে গুলিতে ইমন নিহত হন।

এছাড়া রিকশাচালক রমজান মুন্সী (৩২) বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর ঘটনায়ও একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে রমজান মুন্সী ছাড়া অন্য চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো সুরতহাল প্রতিবেদন বা ময়নাতদন্ত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলেছে, বিলম্বে হলেও এসব করা হবে। তবে দীপ্ত সাহার মরদেহ ইতোমধ্যে দাহ করা হওয়ায় এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।