বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২০ শ্রাবণ ১৪৩২

আকাশ সাদ

প্রকাশিত: ২০:১১, ৫ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২০:১১, ৫ আগস্ট ২০২৫

শাহবাগে জুলাই স্তম্ভ, পতনের ইতিহাস গেঁথে রাখা এক স্মারক

শাহবাগে জুলাই স্তম্ভ, পতনের ইতিহাস গেঁথে রাখা এক স্মারক
ছবি: সদ্য সংবাদ

শাহবাগ মোড়ে স্থাপিত 'জুলাই স্তম্ভ'- আজ ভোর থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেছেন এই প্রতীকী স্তম্ভে, যা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ ও গণঅভ্যুত্থানের স্মারক হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। অনেকেই পরেছেন বাংলাদেশের পতাকার রঙের পোশাক ও ফিতাবন্ধনী, কেউ কেউ ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। 'দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই', 'আমরা কেউ হারিনি' কিংবা 'উন্নয়নের নামে দমন চাই না'—এমন নানা স্লোগানও শোনা যাচ্ছে স্তম্ভের চারপাশে।

জুলাই মাসজুড়ে দেশে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই স্তম্ভ স্থাপন করা হয় শাহবাগে, যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতীক হিসেবে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্তম্ভে লেখা বিভিন্ন কথাগুলোতে উঠে এসেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, দ্রোহ এবং আত্মত্যাগের গল্প।

বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ৩৬ জুলাই (২০২৪ সালের ৫ আগস্ট) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিজয় অর্জিত হয়েছে। বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে সারা দেশে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ করা হয়েছে।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে এখান থেকেই শুরু হয়েছিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ। কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবিতে শুরু হওয়া সেই প্রতিবাদ পরিণত হয় হাসিনা সরকারের পতনের  নানা পর্যায়ে দমন-পীড়ন, গ্রেপ্তার, এবং হামলার মধ্যেও পিছু হটেনি ছাত্রজনতা। শাহবাগই হয়ে ওঠে প্রতিরোধের মুখ। সেই আন্দোলনের একবছর পরে নির্মিত হয় ‘জুলাই স্তম্ভ’  ইতিহাসকে স্মরণে রাখার জন্য
একটি দাবি থেকে যে আন্দোলন শুরু, তা পাল্টে দেয় একটি সরকারের গতিপথ। সেই ইতিহাসের সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে ‘জুলাই স্তম্ভ’। এমনটাই মনে করেন সাধারন মানুষ।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র শাহবাগে স্থাপিত হলো ‘জুলাই স্মৃতি স্তম্ভ’—নতুন স্মারক যা বাংলাদেশের সর্বশেষ গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে উজ্জ্বল মর্মস্পর্শী বার্তা হয়ে থাকবে। ‘শাহবাগের নতুন স্মারক মানুষের চোখে যেমন স্পষ্ট, তেমনি মনেও প্রভাব ফেলবে—জুলাই আন্দোলনের সেই তীব্র আবেগ আর সেই আত্মত্যাগের বার্তা নিয়ে।’

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ