ঐকমত্য কমিশন ঐক্য নয়, অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আসলে ঐক্য নয়, অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আজ তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। এজন্য তাদের ধন্যবাদ দিতেই হয় কারণ অবশেষে তারা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পেরেছে। তবে আবার ধন্যবাদ দিচ্ছি এজন্য যে, তারা জাতীয় ঐকমত্য নয়, বরং ‘জাতীয় অনৈক্য’ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে জুলাই মাসে জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করেছি, ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশে তাতে অনেক বহির্ভূত আদেশ যুক্ত করা হয়েছে।’
ঐকমত্য কমিশনের একটি প্রস্তাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘৯০ বা ২৭০ দিনের মধ্যে সুপারিশ বাস্তবায়িত না হলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইনে পরিণত হবে এমন সুপারিশ হাস্যকর।’
বৈঠক প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা জানান, বহুদলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও প্রত্যেক দলের নিজস্ব প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত এমন মত জানাতে তারা আইন উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছেন। ‘তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আমরা অপেক্ষায় থাকব,’ বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
ফেব্রুয়ারির সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো দল বলেনি নির্বাচন হবে না। সরকারও প্রস্তুতি নিচ্ছে—তাই আমরা ধরে নিচ্ছি ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে এনসিপি জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে যাবে কি না—সেই সিদ্ধান্ত জানানোর সময় এখনো আসেনি।’



























