বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ১৯ জুলাই ২০২৫

জাতি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হলে বহির্বিশ্ব সুযোগ নেয়: ইশরাক হোসেন

জাতি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হলে বহির্বিশ্ব সুযোগ নেয়: ইশরাক হোসেন
ছবি: ইন্টারনেট

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘যখন একটি জাতি অভ্যন্তরীণভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ে, তখনই বহির্বিশ্ব হস্তক্ষেপের সুযোগ পায়।’

শনিবার (১৯ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের যদি সঠিক ও কার্যকর বিচার হতো, তাহলে আজ জাতি এতটা বিভক্ত হতো না। ওই সময় সংঘটিত অপরাধের বিচার একসময় রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার প্রতিপক্ষকে দমন করেছেন।’

ইশরাক আরও লিখেন, ‘যেই আইনে আজ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত হয়েছে এবং গণহত্যার দায়ে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে, সেই একই আইনের আওতায় ১৯৭১ সালের অপরাধের বিচার হওয়া উচিত ছিল।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘যখন আজও দেখা যায়, ১৯৭১ সালের খুনি-ধর্ষকরা বা তাদের উত্তরসূরিরা নির্লজ্জভাবে সেই বর্বরতার পক্ষে কথা বলেন— তখন বোঝা যায়, জাতি হিসেবে আমরা কতটা দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছি। তবে আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের বিচার করবেন, যদি না হয় এই দুনিয়ায়, তবে পরকালে।’

জাতীয় অগ্রাধিকার নির্ধারণে ব্যর্থতাকেই তিনি জাতির বিভক্তির মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘আমরা কোনো পরাশক্তির অধীনে থাকতে চাই না— না পাকিস্তান, না ভারত, না আমেরিকা, রাশিয়া বা চীন।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান গণআন্দোলনে লাখো ছাত্র, পরিবার ও নেতাকর্মীর ত্যাগ ও আবেগকে পরবর্তীতে কিছু সমন্বয়কারী, উপদেষ্টা ও এনসিপির (জাতীয় রাজনৈতিক দল) নেতারা বিক্রি করে দেন। ফলে সেই আন্দোলনের গতি থেমে যায় এবং শেখ হাসিনার মতো একনায়কতন্ত্র আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’

ইশরাকের দাবি, নতুন রাজনৈতিক দল ও তাদের পৃষ্ঠপোষক পুরনো শক্তিগুলো এখনো আওয়ামী লীগ মডেলের রাজনীতির পথ অনুসরণ করছে। তবে জনগণ এখন আর সেই ফাঁদে পা দেবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।