বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:৩১, ১৮ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলার আহ্বান

গোপালগঞ্জে ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলার আহ্বান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ সেখ বলেছেন, দেশের আমূল সংস্কার না হলে আবার পুরনো অন্ধকারে ফিরে যেতে হবে। প্রশাসন, আইন এবং নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই সংস্কার করতে হবে, নয়ত রাজনৈতিক দূর্বৃত্তায়ন থামানো সম্ভব নয়। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল নির্বাচনী পরিচালনার জন্য পিআর (প্রার্থী নিবন্ধন) চাইলেও একটি দল তা অস্বীকার করছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণহীনতায় প্রশাসনের ব্যর্থতাই মূল কারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) গোপালগঞ্জে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেইটে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে দলের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেমসহ অনেকে।

মাওলানা ইউনুস আহমদ আরো বলেন, জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি, আহতরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত, ব্যবসায়ী ও পরিবহন শ্রমিকরা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা ছাড়া রাস্তায় চলাচল কঠিন। এই অবস্থায় ছাত্র-জনতা জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছে, কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তা উত্সাহিত করে না।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছিলেন দেশে কোনও জঙ্গি নেই। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গি নাটকের নতুন প্রলেপ দেয়া হচ্ছে। যারা এই নাটক করছে, তাদের জাতির সামনে আনা ও কঠোর শাস্তি দেয়া জরুরি।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, ইসলামী আন্দোলনের আমীর চাঁদাবাজ, দখলদারদের বিরুদ্ধে বলায় কিছু গোষ্ঠী নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরা আসলে চাঁদাবাজদের পৃষ্ঠপোষক। তিনি গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার জন্য প্রশাসনকে দায়ী করেন। মানবাধিকার অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে না গিয়ে বাংলাদেশে এই কার্যালয় স্থাপন করা হলে তা অপ্রয়োজনীয়।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, জুলাই-আগস্ট যোদ্ধাদের ওপর হামলা করে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী নতুন করে রক্তপিপাসু রূপ ধারণ করেছে। কয়েক মাসেই যেভাবে তারা হামলা চালিয়েছে, তা স্পষ্ট প্রমাণ যে ফ্যাসিবাদের শিকড় চিরতরে উচ্ছেদ করা ছাড়া বিকল্প নেই। প্রশাসন, সচিবালয়সহ যেখানেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অবস্থান থাকবে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশ শেষে বায়তুল মুকাররম থেকে শুরু হয়ে পল্টন, বিজয়নগর, পানির ট্রাঙ্কি হয়ে হাউজ বিল্ডিংয়ে শেষ হয় একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল।