বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, দেশের সব সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা জারি
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপটি এখন গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এটি খুব শীঘ্রই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আজ রবিবার সকাল ১০টায় প্রকাশিত বিশেষ আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ঘূর্ণিঝড়টির অবস্থান বাংলাদেশের বিভিন্ন সমুদ্রবন্দর থেকে কত দূরে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩৪০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৭০ কিলোমিটার, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,৩০০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১,২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছেন। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে থাকা সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, 'গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে, এটা নিশ্চিত। সম্ভাব্য আঘাতস্থল হতে পারে ভারতের ওডিশা বা অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল। আগামীকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আর মঙ্গলবার এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ভারতের ওডিশা ও তামিলনাড়ু উপকূলে আঘাত হানতে পারে।'
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, 'এটি নির্ভর করবে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে উঠে এলে কতটা শক্তিশালী থাকে তার ওপর। স্থলভাগে উঠে দুর্বল হয়ে ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে আসতে পারে। এর ফলে আগামী বুধবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে।'
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের মাচিলিপত্তম ও কালিঙ্গাপত্তমের মধ্যবর্তী এলাকা এবং কাকিনাড়ার আশপাশে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ স্থায়ী বেগ ঘণ্টায় ৯০–১০০ কিলোমিটার এবং দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার বেগ ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























