বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২০ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:২৩, ৫ আগস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দিনভর সাংস্কৃতিক আয়োজন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে দিনভর সাংস্কৃতিক আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি পুনর্জাগরণে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনভর উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে ‘৩৬ জুলাই’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় এই মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার বিশেষ দিনটির আয়োজন ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ ও প্রতীকী।

দুপুর ১২টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, প্রতীকী ‘ফ্যাসিস্টের পলায়ন’ উদযাপন, ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ এবং সন্ধ্যায় স্পেশাল ড্রোন ড্রামা ‘ডু ইউ মিস মি?’। উপস্থাপনায় ছিলেন জুলহাজ্জ জুবায়ের ও সারা আলম।

দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে প্রতীকীভাবে ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার পলায়ন’ উদযাপন করা হয়। আয়োজকরা জানান, এটি ছিল ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক মুহূর্তের পুনরাবৃত্তি।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরু হয় ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনায়। তারা পরিবেশন করেন ‘এই দেশ আমার বাংলাদেশ’, ‘আয় তারুণ্য আয়’, ‘জীবনের গল্প’, ‘ওমা আর কেঁদো না’, ‘যাদের জন্য পেলাম আবার নতুন বাংলাদেশ’, ‘জারিগান’সহ ইসলামিক সংগীত। এরপর ‘কলরব শিল্পীগোষ্ঠী’ পরিবেশন করে ‘তোমার কুদরতী পায়ে’, ‘দে দে পাল তুলে দে’, ‘ধন ধান্য পুষ্পভরা’, ‘ইঞ্চি ইঞ্চি মাটি’ ও ‘দিল্লি না ঢাকা’ গানগুলো।

কণ্ঠশিল্পী নাহিদ পরিবেশন করেন ‘পলাশীর প্রান্তর’ ও ‘৩৬ জুলাই’ গান। এরপর তাশফি পরিবেশন করেন ‘নোঙর তোল তোল’, ‘তুমি প্রিয় কবিতা’, ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’, ‘চল চল’ ও ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা’। অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন চিটাগাং হিপহপ হুড, র‌্যাপার সেজান, ব্যান্ড শূন্য, কণ্ঠশিল্পী সায়ান, ইথুন বাবু ও মৌসুমি, সোলস, ওয়ারফেজ, পারশা মাহজাবিন, এলিটা করিম, বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল এবং এফ মাইনর (ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ব্যান্ড)।

আসর নামাজের বিরতির পর মঞ্চে এসে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঠ করেন ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’। এটি ছিল দিনটির রাজনৈতিক ও নৈতিক কেন্দ্রবিন্দু।

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ থেকে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ড্রোন ড্রামা ‘ডু ইউ মিস মি?’। এটি লিখেছেন ‘দ্য অ্যানোনিমাস’ এবং যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকার ও চীন সরকার। প্রায় ২০০০ ড্রোনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের স্মরণীয় মুহূর্ত, আন্দোলনের স্লোগান, গ্রাফিতি ও জীবন্ত চিত্রগুলো তুলে ধরা হয় আকাশে।

রাতের শেষাংশে মঞ্চে ওঠে জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘আর্টসেল’। তাদের পরিবেশনায় সমাপ্তি ঘটে এক প্রতীকময় ইতিহাস স্মরণ ও উদযাপনের দিনের।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ