বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২০ শ্রাবণ ১৪৩২

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:৪৫, ৫ আগস্ট ২০২৫

তীর্থ আর অন্যের সহায়তার অপেক্ষায় থাকবে না: জাককানইবি উপাচার্য

তীর্থ আর অন্যের সহায়তার অপেক্ষায় থাকবে না: জাককানইবি উপাচার্য
ছবি: সদ্য সংবাদ

“তীর্থ এখন আর অন্যের সহায়তার অপেক্ষায় থাকবে না। নিজেই শ্রেণিকক্ষে যেতে পারবে, তার চলাচল সহজ হলো। একইসঙ্গে তার মায়ের কষ্টও অনেকটা লাঘব হলো”—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তীর্থ দাসের হাতে একটি অটোমেটিক হুইলচেয়ার তুলে দেন উপাচার্য। রূপালী ব্যাংক পিএলসি এ হুইলচেয়ারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে তীর্থকে প্রদান করে। হুইলচেয়ার হস্তান্তরের সময় উপাচার্য রূপালী ব্যাংকের এ মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রতিশ্রুত অ্যাম্বুলেন্সটি দ্রুত সরবরাহ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. আশরাফুল আলম, রূপালী ব্যাংক পিএলসি ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের ডিজিএম ও জোনাল ম্যানেজার নাসরিন সুলতানা, ত্রিশাল কর্পোরেট শাখার এজিএম মো. মাসুম, ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ইমরান হোসাইন এবং তীর্থ দাসের মা তাপসী রানী দাস।

তীর্থের মা জানান, তার ছেলে ছোটবেলা থেকেই ডুচেন মাসকুলার ডিস্ট্রোফি (Duchenne Muscular Dystrophy - DMD) নামক একটি দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত। দেশ-বিদেশে চিকিৎসা করিয়েও তাকে সুস্থ করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসকদের মতে, এ রোগের কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। হুইলচেয়ার পেয়ে তীর্থ ও তার মা অত্যন্ত আনন্দিত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রূপালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

সর্বশেষ