রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৪ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:০০, ২৩ জুলাই ২০২৫

ইসি গঠনে ঐকমত্য, জাতীয় সনদ প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি: আলী রীয়াজ

ইসি গঠনে ঐকমত্য, জাতীয় সনদ প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি: আলী রীয়াজ
ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ‘ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনে একটি নির্দিষ্ট কমিটি গঠনের বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত দ্বিতীয় পর্বের সংলাপের ১৮তম বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি। আলোচনায় আরও স্থান পায় সরকারি কর্ম কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পালের মতো সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদ্ধতি।

আলী রীয়াজ জানান, গঠিতব্য নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ আইন দ্বারা নির্ধারিত সংখ্যক কমিশনার থাকবেন। তাদের মনোনয়নে একটি সংসদীয় কমিটি কাজ করবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কমিটিতে আরও থাকবেন ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত), প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।

এই কমিটি বিদায়ী কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে প্রার্থী অনুসন্ধান শুরু করবে। প্রার্থীদের জীবনবৃত্তান্ত যাচাই করে সর্বসম্মতিক্রমে একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং বাকিদের জন্য একজন করে প্রার্থী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করবে। রাষ্ট্রপতি তাদের ৫ বছরের জন্য নিয়োগ দেবেন।

আলী রীয়াজ আরও জানান, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের ২, ৪, ৫(ক), ও ৬ উপ-অনুচ্ছেদ অপরিবর্তিত থাকবে। তবে ৫ নম্বর উপ-অনুচ্ছেদে একটি নতুন অংশ যুক্ত হবে, যার মাধ্যমে কমিশনের জন্য আইন ও আচরণবিধি প্রণয়ন এবং সংসদের কাছে জবাবদিহিতার বিধান যুক্ত হবে।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দল তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে যে ঐক্যমতে পৌঁছেছে, তা একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশনের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, জুলাই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদের খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।