বাড়িতে ঢুকে আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণ, যুবককে গণধোলাই
ভারতের আসানসোল পুরনিগমের কুলটি থানার শাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ি এলাকায় গভীর রাতে এক আদিবাসী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। পরে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য দেখা দেয়। অভিযোগ গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ অনুসারে, বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বাড়িতে ঢুকে কৌশলে ওই মহিলাকে জোর করে নির্যাতন করা হয় এবং রাত দুইটার দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনার কথা জানতে পেরে ভুক্তভোগীর স্বামী রাত সাড়ে তিনটায় বাড়ি ফিরে ঘটনাটি জানতে পারে। গ্রামে চাঞ্চল্যের মধ্যেই অভিযুক্তকে ধরিয়ে দেয় স্থানীয়রা; পরে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
অভিযুক্ত যুবক অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের কাছে বলছেন, “যা বলা হচ্ছে তা সত্য নয়, আমি রাত ১১টার মধ্যেই বাড়ি ফিরে এসেছি।” কিন্তু গ্রামে থাকা লোকজন তাঁর কথায় বিশ্বাস করেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে এবং নির্যাতিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথেও কথা বলা হচ্ছে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে এলাকায় এসে উপস্থিত হয়েছেন তৃণমূল কুলটি এলাকার সভাপতি বিধান চন্দ্র মাজি। তিনি বলেন, “পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সঠিকভাবে তদন্ত করা হোক এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।”
স্থানীয়রা দ্রুত ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন। পুলিশ জানায় — ঘটনার তৎপরতা অনুযায়ী তদন্ত চলছে; প্রাথমিক তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























