ইসরায়েলি আগ্রাসনে পঙ্গুত্ববরণ ৪২ হাজার ফিলিস্তিনির, এক–চতুর্থাংশই শিশু
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আহতদের প্রতি চারজনের একজন শিশু। অঙ্গচ্ছেদ ঘটেছে অন্তত ৫ হাজার ফিলিস্তিনির।
তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ হাজারের বেশি মানুষের হাত-পা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যারা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। দুই হাজারের বেশি মানুষ স্পাইনাল কর্ড তথা মেরুরজ্জুতে আঘাত পেয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনি মানুষ মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনের বেশি মানুষের শরীরের বড় অংশ পুড়ে গেছে।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার মানুষ স্থায়ী পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আহতদের প্রতি চারজনের একজন শিশু। অঙ্গচ্ছেদ ঘটেছে অন্তত ৫ হাজার ফিলিস্তিনির।
তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ হাজারের বেশি মানুষের হাত-পা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যারা আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে না। দুই হাজারের বেশি মানুষ স্পাইনাল কর্ড তথা মেরুরজ্জুতে আঘাত পেয়েছেন। প্রায় দেড় হাজার ফিলিস্তিনি মানুষ মস্তিষ্কে আঘাত পেয়েছে এবং প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জনের বেশি মানুষের শরীরের বড় অংশ পুড়ে গেছে। মুখমণ্ডল ও চোখের জটিল আঘাতও ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে যারা এখনো গাজায় উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না, তাদের মধ্যে এ ধরনের জটিলতা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এসব আঘাত শুধু শারীরিক নয়, সামাজিক কলঙ্ক এবং প্রতিবন্ধিতার নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ধ্বংসপ্রায়। ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে কেবল ১৪টি আংশিকভাবে কার্যকর, আর যুদ্ধের আগে চালু থাকা পুনর্বাসন সেবার তৃতীয়াংশও এখন নেই। হাজার হাজার মানুষের অঙ্গ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরও গাজায় কেবল আটজনই কৃত্রিম অঙ্গ তৈরি ও ব্যবহার করতে পারছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ‘পুনর্বাসন খাতও ধ্বংসপ্রায়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন বিশেষজ্ঞ নিহত হয়েছে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাজা প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন বলেন, ‘পুনর্বাসন কেবল দুর্ঘটনার চিকিৎসার জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা ও প্রতিবন্ধীদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাস্তুচ্যুতি, অপুষ্টি এবং মানসিক সহায়তার অভাব এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।’
জাতিসংঘের সংস্থা এখন অবিলম্বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিশ্চিত, মেডিকেল সরবরাহ অবাধে ঢুকতে দেওয়া এবং যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গাজার মানুষ শান্তি, স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার এবং সুস্থ হওয়ার সুযোগ পেতে চায়।’
গাজায় মানবতার এই ভয়াবহ সংকটের মুখে, শরণার্থী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য জীবন একেবারেই অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এই মানবিক বিপর্যয় যেন আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে এক জরুরি সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়ায়।



























