রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য বিনোদন

প্রকাশিত: ১৮:৪৫, ১২ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৮:৪৮, ১২ জুলাই ২০২৫

রাজনীতির ফাঁদ নিয়ে সালমান মুক্তাদিরের ফেসবুক স্টাটাস

রাজনীতির ফাঁদ নিয়ে সালমান মুক্তাদিরের ফেসবুক স্টাটাস

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডে স্তম্ভিত সারা দেশ। জনসমক্ষে ঘটে যাওয়া এই নির্মম ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন শোবিজ তারকারাও। তাদের মধ্যে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমান মোহাম্মদ মুক্তাদির সতর্ক করেছেন সবাইকে এই ঘটনা যেন রাজনৈতিক এজেন্ডার হাতিয়ার না হয়ে পড়ে।

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সালমান লেখেন, ‘যে ধর্ষণ আর হত্যাকাণ্ড আপনাকে কষ্ট দেয়, সেগুলো পাশের রাজনৈতিক লোকগুলোর কাছে আনন্দের খোরাক হয়ে দাঁড়ায়। শুধু কোনও জাতীয় সংকটে কেউ আপনার পক্ষে কথা বলছে বলে মনে করবেন না যে তারা ন্যায়বিচারের পক্ষে আছে। তারা শুধু সুযোগটাকে কাজে লাগাচ্ছে নিজেদের স্বার্থের জন্য—মানবতার জন্য নয়, সহমর্মিতার জন্য নয়।’

তিনি লেখেন, ‘যারা নিঃস্বার্থভাবে সবসময় আপনার পাশে থেকেছে, তাদের অনেকেই জীবন বা অঙ্গহানি সহ্য করেছেন। যারা সত্যি দেশের ভালোর জন্য কাজ করতে চায়, তারা কখনও রাজনৈতিক ফলাফলের জন্য কাজ করে না।’

সতর্কবার্তায় সালমান বলেন, ‘চারপাশ চিনুন। যারা আপনার আবেগকে ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে চায়, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। তারা চায় আপনি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুন, অসহায় বোধ করুন, যাতে আপনি তাদেরই ত্রাণকর্তা ভাবেন। শুধু রাজনৈতিক সংগঠনের পেছনে দৌড়াবেন না, বরং আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত অপরাধ ও অপরাধীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো। তারা কোন দলের, সেটা মুখ্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘সব অপরাধীই রাজনৈতিক নয়। কিন্তু যদি আমরা শুধুমাত্র একটি দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিই, তাহলে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়ি। তখন আমরা আর প্রকৃত অপরাধবিরোধী থাকি না, বরং দলের অপরাধকেই টার্গেট করি। অথচ প্রতিটি অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত, প্রতিটি অপরাধ দিনের আলোয় আসা উচিত। মানবতা ও সহমর্মিতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হতে দেওয়া যাবে না।’

সোহাগ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সালমান বলেন, ‘সোহাগের ঘটনাটি ইন্টারনেটে আসতে দুই দিন লেগেছে। অথচ ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, বিএনপি বা এনসিপি কেউই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কিছু জানে না, কেউ কিছু বলেনি, অবস্থান নেয়নি। বিএনপিকেও তাদের লোকজনের কার্যকলাপের জন্য কেউ দায়ী করেনি। এত বড় বড় সংগঠন থাকার পরও ফেসবুকের কিশোর-তরুণরাই সবচেয়ে আগে তথ্য দিয়ে এগিয়ে এসেছে।’