বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভোটার বিহীন রাকসু নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হবে: সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা

ভোটার বিহীন রাকসু নির্বাচন ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ হবে: সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ, পূজার ছুটি সামনে থাকা এবং ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ কারণে শিক্ষার্থীরা হল ও মেস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে যদি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে সেটি ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রহসনের নির্বাচন’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্ধশতাধিক প্রার্থী।

সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এই অবস্থান জানান ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ’, ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, ‘ইউনাইটেড ফর রাইটস’ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা দ্রুত ‘পোষ্য কোটা’ সমস্যার সমাধানসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’-এর সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী তাসিন খান বলেন, ‘২৫ তারিখে রাকসু নির্বাচন ঘিরে আমরা সবাই উৎসবমুখর প্রচারণায় ছিলাম। কিন্তু ‘পোষ্য কোটা’ ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তাতে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনের প্রাণ হলো শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ; তা না হলে এই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শাটডাউনের কারণে শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়ছে। পূজার ছুটি ও সাধারণ ছুটির পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত এই শাটডাউন প্রার্থীদের প্রচারে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হতে যাওয়া রাকসু নির্বাচন এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হোক, সেটা আমরা চাই না।’

স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী শাহ পরাণ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একে একে বাসায় চলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় ভোট হলে তা প্রহসন ছাড়া আর কিছু নয়। আবার ‘পোষ্য কোটা’য় যেসব শিক্ষার্থী ভর্তি হবে, তারা ভোটার বা প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। ভবিষ্যতে তাদের নিয়ে আইনি জটিলতা তৈরি হলে কে দায়িত্ব নেবে?’

‘রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, ‘মেসগুলোতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, অর্ধেকেরও বেশি শিক্ষার্থী বাসায় চলে গেছেন। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হতে পারে না। আগে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে, তারপরই আমরা অংশগ্রহণে প্রস্তুত।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাকসুতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামে, ছাত্র ফেডারেশন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ মিলে ‘রাকসু ফর র‍্যাডিকাল চেঞ্জ’, সাবেক দুই সমন্বয়কের নেতৃত্বে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’, আর কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ‘ইউনাইটেড ফর রাইটস’ ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

রাকসুর বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অন্তত ৫০ জন প্রার্থী এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
 

সর্বশেষ