শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৪, ১৪ জুলাই ২০২৫

‘আমরা যদি মিথ্যাও বলি, সেটাই সত্যি’: বিসিএস কর্মকর্তা

‘আমরা যদি মিথ্যাও বলি, সেটাই সত্যি’: বিসিএস কর্মকর্তা
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায়। ছবি : সংগৃহীত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় বিসিআইসি টিএসপি সার বিতরণে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ডিলার ও সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ না করে তা গোপনে মজুত রাখা হয়েছে।

উপজেলার বিনোদনগর ইউনিয়নের ‘মেসার্স মণ্ডল ট্রেডার্স’ নামক ডিলার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মজুত থাকা সার কৃষকদের জানায়নি এবং সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ডিলার পয়েন্টে না রেখে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে একটি দোকানঘরে সার সংরক্ষণ করা হয়েছে। অথচ বরাদ্দকৃত ১৩.৩ টন সারের পুরোটা কৃষকের হাতে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ।

নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কেরামত আলী বলেন, ‘আপনি তো সঙ্গেই ছিলেন, দেখেছেন সবাই ঠিক ছিল। তবে শেষে একটু সমস্যা হয়েছিল।’ তবে তিনি সার কোথায় রাখা হয়েছে এবং কেন ডিলার পয়েন্টে পাওয়া যায়নি, সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

আরো বিস্ময়করভাবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলেন, ‘আমরা যারা বিসিএস কর্মকর্তা আছি, আমরা যদি মিথ্যাও বলি, সেটাই সত্যি। কারণ ফাউন্ডেশনে আমাদের তা-ই শেখানো হয়েছে।’ তার এই মন্তব্যে উপস্থিত অনেকে হতবাক হয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, সার সরানোর বিষয়ে তাকে মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোনো লিখিত অনুমোদন নেই।

দিনাজপুর জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আফজাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘গুদাম পরিবর্তন কিংবা স্থানান্তর করতে হলে অবশ্যই উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। মৌখিক নয়, লিখিত কাগজপত্রেই অনুমোদন থাকতে হবে।’

এদিকে প্রতিবেদন তৈরির সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা ও ডিলার সাংবাদিককে চাঁদাবাজির অভিযোগে মানহানির মামলার হুমকি দেন, যা প্রশ্ন তোলে সার বিতরণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে।

সূত্র: কালবেলা

সম্পর্কিত বিষয়: