বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫:১০, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুমি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ৪ বছর পর গ্রেফতার

সুমি হত্যা মামলায় প্রধান আসামি ৪ বছর পর গ্রেফতার
ছবি: সদ্য সংবাদ

বাগেরহাটের ফকিরহাটে চার বছর আগে সংঘটিত গৃহবধূ সুমি আক্তার পুতুল (২৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির বাগেরহাট জেলা ইউনিট। দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত সোমবার বিকেল ৫টার দিকে কুমিল্লার লাকসাম থানা এলাকায় র্যারবের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি হলেন বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইন (৩৮)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ঘাটুরা গ্রামের আক্তার হোসাইন ওরফে কামাল মিয়া মুন্সির ছেলে।

২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর সকালে ফকিরহাট উপজেলার সাতবাড়ীয়া গ্রামে নিজ বাড়ির পাশের একটি ঘের থেকে সুমি আক্তার পুতুলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় হত্যা মামলা (ফকিরহাট থানার মামলা নং-০৪, তাং-০৬/০৭/২০২১ খ্রি., ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০, জিআর-১২৪/২১) দায়ের করে।  সিআইডির তফশিল ভুক্ত হওয়ায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে। 

সিআইডির তদন্তে জানা যায়, নিহত সুমি আক্তারের সাথে আসামি বিজয়ের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। হত্যাকাণ্ডের রাতে সুমি আক্তার বিজয়কে তার স্বামী-সংসার ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে নতুন সংসার গড়ার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বিজয় সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধাক্কা দিয়ে ঘেরে ফেলে হত্যা করে। হত্যার পর সে ঘটনাস্থলে থাকা মৃতদেহটি নারিকেলের ডালপালা দিয়ে ঢেকে দ্রুত পালিয়ে যায়। 

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিজয় হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে এবং বিয়ের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। এ সংক্রান্তে অভিযুক্ত বিজয় ওরফে রিংকু হোসাইন বিজ্ঞ আদালতের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।