বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৪:৩৯, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৫:০৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভাঙ্গায় ইউএনও কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৯০ জনের নামে মামলা

ভাঙ্গায় ইউএনও কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ, ৯০ জনের নামে মামলা
ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর-৪ ভাঙ্গা সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস ও পুলিশের করা মামলার প্রতিবাদে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়, ইউএনও কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে, বিক্ষোভ-অবরোধকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের ঘটনায় ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ কামাল হোসেন সম্পূর্ণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, হাজার হাজার আন্দোলনকারী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ইউএনওর অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। তারা একে একে প্রতিটি দপ্তরে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে জরুরি জিনিসপত্র ও কম্পিউটার নিয়ে যায়। আমরা জীবন ভিক্ষা চেয়ে পালিয়ে বেরিয়েছি। ইউএনও অক্ষত আছেন।

এর আগে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন থেকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে পরপর দুইবার তিন দিনের সড়ক অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

মামলায় ১ নম্বর আসামি হিসেবে আন্দোলন ঘিরে গঠিত সর্বদলীয় ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিয়াকে (৬০) গ্রেপ্তা‌র দেখানো হয়েছে। তাকে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে নগরকান্দা থানার চাঁদহাট ইউনিয়ন থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ ছাড়া মামলায় হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়াকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০টায় ভাঙ্গার দক্ষিণপাড় বাসস্ট্যান্ডে নান্টু মুন্সী ও অ্যাডভোকেট মাসুদ মুন্সির নেতৃত্বে কিছুসংখ্যক আন্দোলনকারী রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেনে।

সর্বশেষ