বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১১:১৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে
ছবি: সংগৃহীত

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলের ফলে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে তিস্তার পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় অবস্থিত দেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে যেকোনো সময় তিস্তা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো বন্যার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে তিস্তার চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।

তিস্তা নদী সংলগ্ন গড্ডিমারী গ্রামের বাসিন্দা কদম আলী বলেন, 'প্রচুর পানি আসছে ভারতের উজান থেকে। ইতোমধ্যে নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে যেকোনো সময় আমাদের এই গ্রাম পানিবন্দি হওয়ার আশঙ্কা করছি।'

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবরধন গ্রামের সুলতান মিয়া বলেন, 'উজানের ঢলে পানি বাড়ছে। চরাঞ্চলের কিছু বাড়ি ইতোমধ্যে পানিবন্দি। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে বড় বন্যার আশঙ্কা করছি। এ বছর এখনো বড় কোনো বন্যা হয়নি।'

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, 'সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে দেয়া হয়েছে। সতর্কাবস্থায় থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।'

ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, 'আজ সকাল থেকে পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের পানি-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব স্লুইসগেট খোলা রাখা হয়েছে।'

লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, 'উজান থেকে পানি আসায় তিস্তার পানি বাড়ছে। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে, তাই নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।'

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, 'নদী তীরবর্তী এলাকার খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। বন্যা দেখা দিলে তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'

সর্বশেষ