বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০০:১০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাবি শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা
ছবি: সংগৃহীত

নিজ জেলা পাবনার আরিফপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় পাবনা শহরের কাচারিপাড়া জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়, এরপর রাত ৯টা ১৫ মিনিটে তাকে আরিফপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে মরদেহ বহনকারী এম্বুলেন্স তার নিজ বাড়িতে পৌঁছায়। এই সময় শোকের ছায়া নেমে আসে; বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে মরদেহ মসজিদের সামনে রাখা হয়।

পরিবার সূত্র জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়েছিল। পরিবারের আশা ছিল একমাত্র মেয়েকে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে শশুরবাড়িতে পাঠানো, কিন্তু তা আর সম্ভব হয়নি। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন।

জান্নাতুল ফেরদৌস মৌমিতা ছিলেন পাবনার বিশিষ্ট সাংবাদিক পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনা প্রতিনিধি রুমি খন্দকার এবং পাবনা কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক লুৎফুন্নাহার পলির একমাত্র সন্তান।

১৯৯৫ সালে জন্ম নেওয়া মৌমিতা ছোট থেকেই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০০৯ সালে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা মহিলা কলেজ থেকে ২০১১ সালে গোল্ডেন জিপিএ-৫ নিয়ে পাশ করার পর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখানে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করে ২০২১ সালে চারুকলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।

তার বাবা রুমি খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচনের দায়িত্ব শেষে রাত ১২টার দিকে শিক্ষক কোয়ার্টারে তার বাসায় গিয়েছিলেন মৌমিতা। পরদিন সকালে ভোট গণনার কক্ষে ডাকাপ্রাপ্ত হলে তিনি সেখানে যান, কিন্তু কক্ষে প্রবেশের আগেই দরজার সামনে পড়ে যান। পরবর্তীতে তিনি মারা যান। বাবা বলেন, “গতকাল ভোটগ্রহণের পর আমার সঙ্গে ওর কথা হয়েছে। সে নির্বাচনের বিষয়ে বেশ খুশি ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টা ১৮ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিয়েছিল ‘বাবা আমি ভোট গণনা করতে যাচ্ছি।’”
 

সর্বশেষ