আন্দোলনে ঢাকাসহ ছয় জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে তিন দফা দাবিতে বরিশালে শিক্ষার্থীদের টানা ১৬ দিনের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক। বুধবার (১৩ আগস্ট) নথুল্লাবাদ ও সাগরদি পয়েন্টে অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সাগরদি কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নেয়। আন্দোলনকারীরা প্রতিদিন ৬-৭ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করছেন।
অচলাবস্থা নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. আবু জাফরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বরিশালে এসে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে আন্দোলনকারীরা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙতে অস্বীকৃতি জানান।
পরে মহাপরিচালক হাসপাতাল সভাকক্ষে প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সভা উত্তপ্ত হয়ে উঠলেও উভয় পক্ষের অবস্থান থেকে কেউ সরে আসেননি। মহাপরিচালক অনশনকারীদের আহ্বান জানিয়ে রাজধানীতে ফিরে যান।
এ সময় তিনি বলেন, “তিন দফা দাবির সবই সংস্কার কমিশনের সুপারিশে রয়েছে। এগুলো ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে। তবে আন্দোলনে তৃতীয় কোনো শক্তির ইন্ধন রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে উল্লেখ আছে। স্কুলের শিশুদেরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে নামানো হয়েছে। আন্দোলন না থামালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করবে।”
ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সভাপতি ডা. কবিরুজ্জামানসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ছয় দফা দাবি পেশ করে জানিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন না হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারাও কর্মবিরতিতে যাবেন।
অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাব্বির হোসেন সোহাগ ও সাহাবউদ্দিন মিয়া বলেন, “আশ্বাস নয়, দাবির বাস্তবায়ন দৃশ্যমান না হলে আন্দোলন চলবে।”
প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।