বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২০ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২১ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জের ঘটনায় তিন মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ 

গোপালগঞ্জের ঘটনায় তিন মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ 
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশে মরদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করা হবে।

সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত এক ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান। তিনি জানান, প্রথমে গোপালগঞ্জ পৌর কবরস্থান থেকে রমজানের মরদেহ উত্তোলন করা হবে।

এর আগে, শনিবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় সংঘর্ষে নিহতদের ঘটনায় চারটি হত্যা মামলা দায়ের করেন থানার চারজন উপপরিদর্শক (এসআই)। তিনটি মামলায় অজ্ঞাত ১,৪০০–১,৫০০ জন এবং একটি মামলায় ৮০০–৯০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রমজান কাজী হত্যার ঘটনায় এসআই মো. আইয়ুব হোসেন মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ১৬ জুলাই এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে গাড়িবহর মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে শহরের এসকে সালেহিয়া মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধা দিলে তাদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন রমজান কাজী, পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া, কলেজ মসজিদ এলাকায় গুলিতে নিহত দীপ্ত সাহা, লঞ্চঘাট এলাকায় হামলায় নিহত মোবাইল ব্যবসায়ী সোহেল রানা মোল্লা এবং সোনালী ব্যাংকের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ইমন তালুকদারকে নিয়েও পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে। সব মামলাতেই হামলাকারীদের বড় অংশ অজ্ঞাত রাখা হয়েছে এবং অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কথা বলা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, হামলার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক এখন মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করা হবে।
 

সর্বশেষ