বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ১৭ জুলাই ২০২৫

আমাকে নিহত বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রলীগ: নাইম 

আমাকে নিহত বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে ছাত্রলীগ: নাইম 
ছবি: সংগৃহীত

‘আমি জীবিত ও সম্পূর্ণ সুস্থ। অথচ আমার ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে ‘রমজান কাজী’ নাম দিয়ে আমাকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সদস্য হিসেবে নিহত বলা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মানহানিকর।’—এই কথাগুলো নিজের মুখে বলেছেন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার যুবক জুলকার নাইম, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তিকর ‘নিহত রমজান কাজী’র পরিচয়ে ব্যাপক আলোচনায় চলে আসেন।

গত বুধবার গোপালগঞ্জে এনসিপির একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় চারজন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে কোটালীপাড়ার রমজান কাজী নামক একজনের মৃত্যুর খবর প্রচার করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। অথচ ওই পরিচয়ে প্রচারিত ছবিটি ছিল জুলকার নাইমের, যিনি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং জীবিত।

২৪-এর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই যুবক বৃহস্পতিবার বিকেলে কামারখন্দ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের জীবিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই। অথচ আমাকে ছাত্রলীগ সদস্য পরিচয়ে নিহত দেখানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর প্রচার অত্যন্ত দুঃখজনক। সঠিক তথ্য যাচাই না করে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে এমন সংবাদ ছড়িয়ে দেওয়া দায়িত্বহীনতা।’ তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে অবিলম্বে এই ভুল তথ্য সংশোধনের দাবি জানান।

জুলকার নাইমের বাবা মো. আলী আক্কাস সরকারও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ‘আমার ছেলে সুস্থ এবং আমাদের বাড়িতেই রয়েছে। কিন্তু সংবাদে তাকে মৃত ও ভিন্ন পরিচয়ে তুলে ধরার ঘটনায় আমরা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিকরা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জের ওই সংঘর্ষে কোটালীপাড়ার রমজান কাজী, গোপালগঞ্জ শহরের দীপ্ত সাহা, টুঙ্গিপাড়ার সোহেল রানা এবং সদর উপজেলার ইমন তালুকদার নিহত হন বলে ছাত্রলীগ কর্মীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এই তালিকাতেই জুলকার নাইমের নাম ও ছবি ভুলভাবে সংযুক্ত করে অপপ্রচার চালানো হয়।
 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ