‘নগদ টাকা ব্যবস্থাপনায় বছরে ব্যয় ২০ হাজার কোটি টাকা’

বাংলাদেশে নগদ টাকা ছাপানো, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বণ্টনে প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এই বিপুল খরচ কমাতে ক্যাশলেস বা নগদবিহীন লেনদেন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গভর্নর এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল আর্থিক অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে আর্থিক লেনদেন, বিল পরিশোধ কিংবা যেকোনো অনলাইন সেবা গ্রহণের জন্য স্মার্টফোন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এজন্য ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের স্মার্টফোন বাজারে আনতে কাজ চলছে, যাতে দেশের শতভাগ মানুষ ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং সেবার মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, দেশের বাস্তবতা হলো মানুষ আর গ্রামে ফিরবে না। নগরায়ণের এই প্রবণতা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী আবাসন পরিকল্পনা নিতে হবে। ব্যাংকগুলোর মালিকানাধীন জমিগুলো ডেভেলপারদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ব্যবহারের বিষয়েও ভাবা হচ্ছে।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, গত এক বছরে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক খাতে কিছু সংস্কারমূলক উদ্যোগ নিয়েছে, যার ফলে রপ্তানি খাত স্থিতিশীল রয়েছে এবং বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে বিদেশি বিনিয়োগ না আসা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির ঘাটতি এবং রাজস্ব আহরণ কম হওয়াকে উদ্বেগজনক হিসেবে তুলে ধরেন তিনি।

আলোচনায় আরও অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অর্থনীতিবিদেরা।