সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

|১১ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

জনপ্রশাসনের সর্বত্র গুন্ডামি স্টাইলে চলছে: হাসনাত
এক এনআইডিতে সর্বোচ্চ ৭টি সিম রেজিস্ট্রেশন করা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফার্মগেটে মেট্রো রেলের বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যু, ট্রেন চলাচল বন্ধ
ফেব্রুয়ারি নয়, জানুয়ারিতেই নির্বাচন চায় গণঅধিকার পরিষদ
দলগুলো যাই বলুক, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ছয়
মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি, টেকনাফে নারী গুলিবিদ্ধ
আরপিও সংশোধনীতে বিএনপির আপত্তি, পর্যবেক্ষণ করবে ইসি
সাগরে নিম্নচাপ, পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, নাম হবে মন্থা
লন্ডনে বর্ণবাদী ডানপন্থীদের রুখতে সড়কে হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষ
সরকার দ্রুত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নভেম্বরে সপরিবারে ওমরাহ করতে যাচ্ছেন তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৩২, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

‘আ.লীগ নেতাকর্মীর স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক’ ইস্যুতে মির্জা গালিবের বিস্ফোরক মন্তব্য

‘আ.লীগ নেতাকর্মীর স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক’ ইস্যুতে মির্জা গালিবের বিস্ফোরক মন্তব্য
ছবি: সংগৃহীত

‘আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’ সম্প্রতি এমন একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এই বক্তব্যটি জামায়াত নেতার নয়, বরং এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালানো প্রোপাগান্ডা বলে দাবি করেছেন ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ড. মির্জা গালিব।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

গালিব বলেন, 'আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী সময়ে জামায়াত-শিবিরকে পরিকল্পিতভাবে ‘ভিলিফাই’ বা অপদস্থ করা হয়েছিল। মিথ্যার সঙ্গে আরও মিথ্যা যোগ করে এক ধরনের গল্প তৈরি করা হয়েছিল, যা আজও কিছু মানুষ চালিয়ে যেতে চাইছেন।'

মির্জা গালিব বলেন, ‘গতকালকে (২৬ অক্টোবর) জিটিভির এক টকশোতে আমার একজন সহ-আলোচক বললেন, সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি নাকি বলছেন, ‘আওয়ামী লীগের পালিয়ে যাওয়া লোকদের স্ত্রীদের ওপর জামায়াতের হক আছে’। আজকে সিরাজগঞ্জ জামায়াতের সেক্রেটারি আমাকে ফোন দিয়ে জানালেন, এ রকম কোনো কথা উনি বলেন নাই। আমি একটা ভিডিওতে দেখলাম উনি বরং বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ ভোটাররা ৫ আগস্টের পরে আমাদের দ্বারা কোনো ক্ষয়-ক্ষতির শিকার হন নাই, এজন্য তারা আমাদের ভোট দিতে পারে’।

এই প্রসঙ্গে ড. গালিব বলেন, 'যিনি অভিযোগ করেছেন, তার উচিত প্রমাণ হাজির করা। আর যদি যাচাই-বাছাই ছাড়াই ফেসবুকের কোনো ফটোকার্ড দেখে এমন কথা বলে থাকেন, তাহলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া উচিত।'

তিনি আরও বলেন, 'জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের বক্তব্য নিয়েও একই ধরনের বিকৃত উপস্থাপন করা হচ্ছে। চ্যানেল ২৪-এর এক টকশোতে বিএনপির এক উপদেষ্টা বলেছেন, 'মাসুদ ভাই নাকি বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের এত অস্ত্র আছে যে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় দখল করা যাবে।' অথচ আমি নিজে দেখেছি, তিনি বলেছিলেন, এই কথাটা অন্যরা শিবির সম্পর্কে বলে বেড়ায়, তিনি সেটাই উদ্ধৃত করেছিলেন মাত্র।”

মিথ্যা প্রচার ও প্রোপাগান্ডা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা গালিব বলেন, 'রাজনীতিতে সমালোচনা থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো অগ্রহণযোগ্য। মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যদি কাউকে থামিয়ে রাখা যেত, তাহলে আওয়ামী লীগই তো ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকত।'

তিনি বলেন, 'রাজনীতিতে মতবিরোধ থাকতেই পারে, কিন্তু সেই বিরোধের ভিত্তি যেন সত্য হয়—এটাই এখন সবচেয়ে প্রয়োজন।'

সদ্য সংবাদ/এমটি