সংস্কার নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার তথ্য সঠিক নয়
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ হবে—এ তথ্য সঠিক নয়। বরং সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংস্কার কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে অব্যাহত থাকবে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) অন্তর্বর্তী সরকারের এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি শেয়ার করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে অনুষ্ঠিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এবং সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যে কিছু তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘সরকারের গৃহীত সংস্কার ও নীতিমালা প্রণয়নের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে’—এ তথ্য সঠিক নয়। তিনি জানান, সংস্কার কার্যক্রম এখনো চলমান এবং সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হবে না।
তিনি আরও বলেন, 'সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় ২৩টি আশু করণীয় ছিল। যা এই সরকারের সময়সীমার মধ্যে করা সম্ভব। মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই ১৩টি প্রস্তাবনার বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে, যা শিগগিরই দেখা যাবে। এটি খুব বড় কিছু নয়, কিন্তু সময়সীমা তিন মাস নির্ধারণ করা হয়েছিল। এখন হয়তো আর এক মাস বাকি আছে।'
মাহফুজ আলম বলেন, 'যে কাজগুলো করা হবে, তা কেবিনেটে আলোচনার মাধ্যমে বা নীতিমালা ও অধ্যাদেশ প্রণয়নের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। কিছু বিষয় হয়তো নভেম্বরের পরে আর করা সম্ভব হবে না, কারণ নভেম্বরেই কেবিনেট মিটিং শেষ হতে পারে। এরপর দায়িত্ব নেবে নির্বাচন কমিশন, এবং তখন কেবিনেট বসবে না। তাই আইন প্রণয়নের কাজগুলো আগামী মাসের মধ্যে শেষ করতে চাই। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার মাধ্যমে যা করা যাবে, সেগুলোও শিগগিরই বাস্তবায়িত হবে।'
সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, সংস্কার কার্যক্রম এখনও চলছে এবং এগুলো চলমান রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো সময়মতো বাস্তবায়িত হয়।
সদ্য
সংবাদ/এমটি



























