বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৪:১০, ১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৪:২৯, ১ অক্টোবর ২০২৫

স্বর্ণ চোরাচালানকারীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

স্বর্ণ চোরাচালানকারীর ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করেছে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। অভিযুক্ত শ্যাম ঘোষের নামে থাকা এসব সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে ক্রোক করা হয়েছে।

বুধবার  (১ অক্টোবর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  শ্যাম ঘোষের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর অধীনে ডিএমপি কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, তিনি পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হলেও তার যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার সূত্রাপুরে পারিবারিক হোটেলে কাজ করার মাধ্যমে। পরে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকানে চাকরির সময় তিনি বৈধ কাগজপত্র ছাড়া চোরাই স্বর্ণ কিনে-বেচতেন এবং আয়ের উৎস গোপন করতেন।

তদন্তে আরও জানা যায়, এই অবৈধ অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ফ্ল্যাট ও দোকান ক্রয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্কের ষষ্ঠ তলার সি ব্লকের তিনটি দোকান (দোকান নং 5C-054, 5C-055, 5C-056) এবং ‘ইন্ডিয়ান ডোমেস্টিক স্পাই’ রেস্টুরেন্ট। এছাড়া কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাটে ‘বাবুলী স্টার সিটি’ ভবনের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট এবং স্বামীবাগের ‘স্বর্ণচাপা’ ভবনের ষষ্ঠ তলার একটি যৌথ মালিকানাধীন ফ্ল্যাট তার নামে রয়েছে। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ব্লক-বি, লেভেল-৫-এ ‘নন্দন জুয়েলার্স’ নামের একটি দোকানও তার যৌথ মালিকানাধীন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ভিত্তিতে সিনিয়র মহানগর স্পেশাল জজ আদালত গত ২৫ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন। জব্দ করা সম্পত্তির দেখভালের দায়িত্ব পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি-কে রিসিভার হিসেবে দেওয়া হয়েছে। সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট জানিয়েছে, মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত এখনো চলছে।
 

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ