বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৮ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৮:৫৭, ১৮ জুলাই ২০২৫

ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি: মুশফিকুল আনসারী

ঐক্যবদ্ধ শক্তিই আগামীর বাংলাদেশের ভিত্তি: মুশফিকুল আনসারী
ছবি: ইন্টারনেট

মেক্সিকোতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, যে ঐক্যবদ্ধ শক্তি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল, তাদের সবাইকে আগামী বাংলাদেশের গঠনমূলক ভূমিকার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ‘সেইভ বাংলাদেশ’ নামের বেসরকারি সংগঠনের আয়োজনে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে গৌরবময় স্থান অর্জন করেছে, যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জুলাই সংগ্রামে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী সতর্ক করেন যে, ঐক্যবদ্ধ শক্তির মাঝে কিছু ফাটল দেখা দিয়েছে এবং তাই সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করে ঐক্য রক্ষা করতে হবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও দোষীদের বিচারের জন্য এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি যাদের ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থের কারণে বিভাজন সৃষ্টি করছেন, তাদেরকে শহীদদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে অভিহিত করেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, ঐক্য ছাড়া কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। শেখ হাসিনার মতো স্বৈরশাসককে সরিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অধিকার আদায়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃত এবং এই মর্যাদা বজায় রাখা প্রয়োজন।

‘সেইভ বাংলাদেশ’ সংগঠন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ ও হোয়াইট হাউসের সামনে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ চালিয়েছে। তারা প্লেন ভাড়া করে দেশে গিয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচিও চালিয়েছিল, যা পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের অনুরোধে স্থগিত হয়।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ভেঙে পড়া প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠনে কাজ করছে এবং লুণ্ঠিত ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘দ্য ডেইলি স্টার বাংলা’র সাবেক সম্পাদক ও ওয়াশিংটন বাংলাদেশের দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা, যিনি জাতীয় ঐক্য রক্ষার আহ্বান জানান এবং জুলাই আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাহিদ খান, সঞ্চালনায় ছিলেন কামরুন কনা ও সৈয়দ সালেহ মনসুর পরশ। আরও বক্তব্য দেন শাহাদাত সোহরাওয়ার্দী, কবিতা দিলাওয়ার, মজনু মিয়া, তুহিন ইসলাম, নেসার আহমেদসহ অনেকে। এতে শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।