সোহাগ হত্যা মামলা: এজাহার থেকে ৫ জনের নাম বাদ

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিক খসড়া এজাহার থেকে পাঁচজনের নাম বাদ দিয়েছেন নিহতের বড় বোন।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের পর এজাহার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা অনুযায়ী, নিহত সোহাগের সাবেক স্ত্রী লাকী আক্তার প্রথমে থানায় এসে মামলা দায়েরের জন্য উদ্যোগ নেন। কিছুক্ষণ পর তার সৎ ভাই রনি থানায় আসেন। পরস্পর পরামর্শক্রমে তারা ২৩ জনকে আসামি করে একটি খসড়া এজাহার তৈরি করেন।
পরে সোহাগের আপন বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম থানায় এসে নিজেই মামলা দায়েরের আগ্রহ জানান। তখন তার সামনে ওই খসড়া এজাহার উপস্থাপন করা হয়। তিনি পাঁচজনের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে একজনের নাম যুক্ত করেন এবং মোট ১৯ জনকে আসামি করে চূড়ান্ত এজাহার দাখিল করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মঞ্জুয়ারার দায়ের করা এজাহার অনুযায়ী কোতোয়ালি থানায় মামলা রুজু করা হয়, যার নম্বর-৭। তিনি উল্লেখ করেন, এজাহার একটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী মাত্র এবং মামলার তদন্ত শেষে প্রমাণ-সাপেক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সরোয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে দেখা যায়, একটি গোষ্ঠী মিছিল করে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এবং ‘চাঁদাবাজদের জায়গা নাই, ব্যবসায়ীদের ভয় নাই’ স্লোগান দিচ্ছে। এ সময় এসআই সরোয়ার সন্দেহভাজন মাহমুদুল হাসান মহিন ও রবিন নামের দুইজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেন।
পরবর্তীতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার ভিত্তিতে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।