বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি : বিজিএমইএ সভাপতি

২৫০ কারখানার পণ্য পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি : বিজিএমইএ সভাপতি
ছবি: সংগৃহীত

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছে রপ্তানিকারক সংগঠনগুলো। তারা ইতোমধ্যে নিজেদের সদস্যদের নির্ধারিত ফরম্যাটে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা দিতে চিঠি দিয়েছে। এক-দুই দিনের মধ্যেই কার্গো ভিলেজে থাকা পণ্যের সঠিক হিসাব জানা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বিমানবন্দর কতদিন বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের আশঙ্কা, দীর্ঘ সময় বিমানবন্দর বন্ধ থাকলে যাত্রীদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন।

বাংলাদেশ থেকে সাধারণত তৈরি পোশাক, পচনশীল পণ্য যেমন শাকসবজি, ফলমূল, পান ইত্যাদি রপ্তানি হয় বেশি। এছাড়া আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নানাবিধ পণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট পাঠানো হয়। ফলে এ খাতের ব্যবসায়ীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বলেন, ‘কী পরিমাণ পণ্যের ক্ষতি হয়েছে, এখনই সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০টি কারখানার পণ্য বিমানযোগে রপ্তানি হয়। সে হিসেবে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিমানবন্দর দ্রুত চালু হলে ক্ষতি কিছুটা কম হবে, কিন্তু দেরি হলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যাবে।’

সবজি ও এ জাতীয় পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের রপ্তানি নির্ভর করে বিমানে জায়গা পাওয়ার ওপর। আজকের অগ্নিকাণ্ডে কার পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘পচনশীল পণ্যের রপ্তানি হওয়ায় আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব বিমান চলাচল শুরু হোক। দেরি হলে পাইপলাইনে থাকা পণ্যগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।’