বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৪ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৫:২৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৫:২৮, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিতর্কিত তিন নির্বাচন তদন্তে ইসির তিন কর্মকর্তা সংযুক্ত

বিতর্কিত তিন নির্বাচন তদন্তে ইসির তিন কর্মকর্তা সংযুক্ত
ছবি: সংগৃহীত

তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওঠা অভিযোগ যাচাই-বাছাই এবং ভবিষ্যতে গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিশনে তিনজন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করেছে ইসি। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে জারি করা হয়। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমুল কবীর।

চিঠিতে জানানো হয়, The Commissions of Inquiry Act, 1956 অনুযায়ী গঠিত তদন্ত কমিশনে ইসি সচিবালয়ের তিনজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন করে যাদের কমিশনে সংযুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন, উপ-সচিব মো. আব্দুল মমিন সরকার, মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং মো. হেলাল উদ্দিন খান।

এর আগে, ১৩ আগস্টের এক প্রস্তাবে তদন্ত কমিশনে চারজন কর্মকর্তার নাম প্রাথমিকভাবে পাঠানো হয়েছিল। তখন প্রস্তাবিত ছিলেন, নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (NATI) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ এনামুল হক। তবে চূড়ান্তভাবে তাদের পরিবর্তে নতুন তিনজনকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্ত কমিশনটি মূলত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নানা বিতর্ক ও অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার দায়িত্ব পেয়েছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সে লক্ষ্যে কমিশন সুপারিশ করবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পান। এরপর ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরা দাবি করে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই রাতেই অনেক কেন্দ্রে ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। বিএনপিসহ বিরোধী জোট মাত্র সাতটি আসনে জয় পায়। নির্বাচনটি ‘রাতের ভোট’ হিসেবে পরিচিতি পায়।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করে। বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকারদলীয় প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জাতীয় পার্টি একটি ‘আলোকিত বিরোধী দল’ হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও অনেক আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা তাদের জন্য আসন ছেড়ে দেয়। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। ফলে এই নির্বাচনটি ‘ডামি নির্বাচন’ নামে আলোচিত হয়।

সর্বশেষ