কারাগারে মোবাইল ব্যবহারের সত্যতা স্বীকার আইজি প্রিজনের
কারাগারে বন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকার করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন। তিনি জানিয়েছেন, বন্দিরা অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহার করে এমনকি তাকেও ফোন দেন—প্রায়শই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের ধরিয়ে দিতে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান তিনি।
আইজি প্রিজন বলেন, ‘আমি অস্বীকার করতে পারি না যে কারাগারে মোবাইল যায় না। বন্দিরা অনেক সময় আমাকে ফোন দেয়, উদ্দেশ্য থাকে অন্য কারো তথ্য দেওয়া বা প্রতিদ্বন্দ্বীকে ধরিয়ে দেওয়া। তবে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাই, অনেক মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। অবস্থা আগের চেয়ে ভালো, কিন্তু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে না।’
তিনি আরও জানান, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজারের বেশি অভিযান চালিয়ে ছোট আকারের বহু মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। আলামত পাওয়ায় অনেক বন্দির ‘ডিভিশন’ সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে।
কারা প্রধান বলেন, ‘আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে। রান্না করা খাবার বাসা থেকে আনা বন্ধ করেছি।’
কারাগারে মাদক বিস্তার রোধে নেওয়া পদক্ষেপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, মাদক মামলায় গ্রেফতারদের বিশেষ সেলে রাখা হচ্ছে যাতে তারা ভেতরে মাদক ছড়াতে না পারে। এমনকি বন্দির পেটে করে ইয়াবা আনার চেষ্টাও ধরা পড়েছে। এক বন্দির পেটে ১,২০০টি ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
আইজি প্রিজন বলেন, ‘আমরা শতভাগ সফল না হলেও, অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চট্টগ্রামে মাদক প্রবেশের ঘটনা বেশি ধরা পড়ছে। এমনকি যেসব কারারক্ষী মাদকে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’



























