কারফিউ, গুলি আর রক্তে রাঙা দিন

রাজধানী থেকে মফস্বল সর্বত্রই এক দাবির প্রতিধ্বনি ‘দফা এক, দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
গতবছরের ৪ আগস্ট দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনে বন্ধ ছিলদোকানপাট ও যান চলাচল। গণআন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশেরপাশাপাশি নামে আওয়ামী বাহিনীও। চারদিকে নিহতপরিবারগুলোর আহাজারি যেন সেদিন কাঁপিয়ে দিয়েছিলক্ষমতার মসনদ।
কারফিউ, গুলি আর রক্তে রাঙা আরও একটি দিন ২০২৪ এর ৪ আগস্ট। তবু রাস্তায় ছাত্র-জনতা, চলছে অসহযোগআন্দোলন। বন্ধ দোকান-পাট, যান চলাচল। তীব্র ক্ষোভআর বিক্ষোভে উত্তাল বাংলাদেশ। রাজধানী থেকে মফস্বলসর্বত্রই এক দাবির প্রতিধ্বনি ‘দফা এক, দাবি এক, শেখহাসিনার পদত্যাগ।’
এদিন একাদশ শ্রেণির ছাত্র গোলাম নাফিজকে ফার্মগেটএলাকায় গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। রিকশায় রক্তাক্তদেহ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে চলার ছবি ভাইরাল হলেক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। দুপুর পর থেকে সারাদেশে বন্ধ করে দেয়া হয় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সব সেবা। বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইলইন্টারনেটও।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানীসহ সব বিভাগীয় শহরে জারিকরা হয় কারফিউ। একইসঙ্গে সরকার তিন দিনের জন্যসাধারণ ছুটি ঘোষণা করে।
বিকেলে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতাল থেকে চারজন নিহতের মরদেহ নিয়ে কেন্দ্রীয়শহীদ মিনারে অবস্থান নেন। সেখানে চলে শোক, ক্ষোভআর প্রতিবাদ। সেখান থেকে শাহবাগ অভিমুখে রওনাহলে, রাজু ভাস্কর্যে বাধা দেয় পুলিশ। অন্যদিকে ছাত্ররাহলের তালা ভেঙে দখল নেয় হলের।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আসিফমাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ঘোষণা করে ৬ তারিখ নয়, আগামীকাল ৫ আগস্ট পালিত হবে মার্চ টু ঢাকা।
দেশজুড়ে চলছে অসহযোগ আন্দোলন। চারদিকে শোক, প্রতিবাদ, রক্ত আর প্রতিরোধের ভিন্ন ভিন্ন স্মৃতি। মার্চ টুঢাকার কী হবে পরিণতি, তা দেখার অপেক্ষায় ৫ আগস্ট।